ছাতকে মাদক সিন্ডিকেটের ৩সদস্য গ্রেফতার হলেও ২জন অধরা
চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ):
ছাতকে ২৩৪বোতল ভারতীয় অফিসার্স চয়েস মদসহ ৩ব্যবসায়িকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৭জুলাই) জাউয়া ইউনিয়নের বড়কাপন পয়েন্ট পূর্ব পার্শ্বস্থ একটি রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় মাদকের একটি বড় চালানসহ তাদের আরো কয়েকজন সহযোগি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে র্যাব-৯ এর সিপিসি-৩ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল অংশ নেয়। আটককৃতরা হচ্ছে, ছাতকের কালারুকা ইউপির রামপুর গ্রামের পেশাদার মাদক ব্যবসায়ি আলতাব আলী ওরফে শাহাব উদ্দিন-সাবইর পুত্র আব্দুল হক (৩২), নরুল্লাপুর গ্রামের হাছন আলীর পুত্র ইসলাম উদ্দিন (২৬) ও একই গ্রামের কালা মিয়ার পুত্র জয়নাল আবেদীন (২২)কে গ্রেফতার করে। তবে গ্রেফতারের পর কৌশলগতভাবে র্যাবের কাছে তারা নিজেদের নামও পিতার নাম সঠিক বলেনি। র্যাব-৯ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (সিনিয়র এএসপি) মাঈন উদ্দিন চৌধুরী এঅভিযানে অংশ নেন। র্যাবের একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, অভিযান চলাকালে র্যাবের উপর হামলা করে রামপুর এলাকার আলতাব আলীর পুত্র জিয়াউর রহমান ও কালা মিয়ার পুত্র সিরাজ উদ্দিন-রসিকসহ আরো ৪/৫জন পালিয়ে যায়। ভারত থেকে মাদকদ্রব্য, ইয়াবাও নিষিদ্ধ ঘোষিত পন্য দেশে আমদানীর ক্ষেত্রে রয়েছে এখানে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। সিলেট সদরের আলীনগর ও ছাতকের রামপুর ও নূরুল্লাপুর গ্রামের কতিপয় মাদক ব্যবসায়ি দীর্ঘদিন থেকে এরোডে পন্য আমদানী করছে। ভারত থেকে কোম্পানীগঞ্জের লামনীগাঁও, বুড়িডহর, চিলাডহরের পূর্বে দিকে তেলিখাল ইউনিয়নের হাওরের উপর দিয়ে নৌকায় আলীনগর অথবা রামপুর এলাকায় এনে গুদামজাত করা হয়। পরে এখান থেকে সুরমা নদী হয়ে ভেরাজপুর থেকে যানবাহনযোগে বিভিন্ন এলাকায় মাদক পাচার করা হয়। ঘটনার দিন এসিন্ডিকেট মাদকের বড় চালান নিয়ে, গোবিন্দগঞ্জ নতুন ও পুরানবাজার, ধারন, দোলারবাজার, জাউয়া ও বড়কাপন, পাগলা, ডাবর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা সদরে সরবরাহ করে থাকে। শুক্রবার (২৮জুলাই) বিকেলে ছাতক থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে থানার একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।