নবীগঞ্জে কাদামাটি অতিক্রম করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুখী শিক্ষার্থী
ছনি চৌধুরী,হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :
বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রুল মডেল । সরকারের পক্ষ থেকে দাবী করা কথাটি সাধারণ গ্রামীন জনপদের মানুষের কাছে কতটুকু গ্রহনযোগ্য সেটা হচ্ছে দেখার বিষয় । উন্নয়নের ছোঁয়ায় ভাসছে দেশ কিন্তু তার ছোঁয়া যেন লাগেনি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নে। আড়াই কিলোমিটারের কাচা সড়কটি অল্প বৃষ্টিতেই হাটুপানি তার মধ্যে বছরের ১২ মাস কাদামাটিতে থাকে ভরপুর। এমন অবস্থায় বন্দী দশায় জীবনযাপন করছেন নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার সাধারণ লোকজন । জানা যায় উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রাম থেকে বের হয়ে উপজেলা সদর,স্কুল,মাদ্রাসা,কলেজ,অফিস,আদালত হাট বাজারের যাওয়ার একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম বহরমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হইতে জিয়ারপুর নতুন বাজার পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলো মিটারের কাচা সড়ক । এই আড়াই কিলোমিটারের কাচা কাদাযুক্ত সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে । প্রতিদিন পায়ের জুতা হাতে নিয়ে কাদামাটি অতিক্রম করে স্কুল,মাদ্রাসা কলেজে সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছেন অবহেলিত বহরমপুর গ্রামের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ । এমন ভয়ংকর চিত্রের দশা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে জেলা জুড়ে চলছে সরকারের উন্নয়নের রুল মডেল নিয়ে সমালোচনা । স্কুলে যাওয়ার সময় এক স্কুল ছাত্রী জানান,আমাদের স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হয় প্রায় সময় কাদামাটি দিয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় স্কুলড্রেসে ময়লা হয়ে যায় । এমন অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার সাধারণ লোকজনকে । এবিষয়ে দীঘলবাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ এওলা মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমার চিন্তা-চেতনায় এই রাস্তাটি সংস্কার ও কাদা মুক্ত করার খেয়াল রয়েছে । বরাদ্দ পেলেই যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু করবো । এমন বন্দী দশা থেকে মুক্তি পেতে চান বহরমপুর গ্রামবাসী এবিষয়ে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কার্যকরী প্রদক্ষেপ নেওয়ার জোড়ালো দাবী জানান ।