‘নাশকতা চালানোর সক্ষমতা হারিয়েছে নব্য জেএমবি’
পুলিশের অব্যাহত অভিযানে নিহত হওয়া কিংবা গ্রেফতার, নতুন কর্মী সংগ্রহে ভাটাপড়া, দলীয় কোন্দলসহ নানা কারণে বড় ধরণের নাশকতা চালানোর সক্ষমতা নব্য জেএমবির এখন আর নেই। এমন দাবি করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান বলছেন, এরপরও নজরদারি অব্যাহত রেখেছেন তারা। কিন্তু বৃহত্তর পরিসরে জঙ্গিবাদ নিয়ে ভাবেন এমন ব্যক্তিদের মতে, সাময়িক অভিযানে সীমাবদ্ধ না থেকে জঙ্গিবাদের মূল উৎপাটনে আদর্শের পরিবর্তন করাতে হবে।
গুলশান হলি আর্টিজান হামলার পর দেশ জুড়ে যখন জঙ্গি আতঙ্ক চরমে ঠিক তখন গেল বছর ২৬ জুলাই কল্যাণপুরে পরিচালিত অভিযানে মারা যায় নয় জঙ্গি। গ্রেফতার হয় একজন। এর এক মাসের মাথায় নারায়ণগঞ্জে আরেকটি অভিযানে নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা তামিম চৌধুরীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়। এরপর বিভিন্ন সময় তানভির কাদেরি, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাহিদ, সারোয়ার জাহান মানিক, মারজান, সাদ্দাম, বাশারুজ্জামান চকলেটসহ নব্য জেএমবির বেশকজন নিহত হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে। গ্রেফতার হয় রাজিব গান্ধী, সোহেল মাহফুজ, আসলাম হোসেন রাশেদ ওরফে র্যাশসহ আরো কয়েকজন। এই প্রেক্ষাপটে নব্য জেএমবি সক্ষমতা হারিয়েছে দাবি করছে পুলিশ।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘নব্য জেএমবির যে সাংগঠনিক কাঠামো সেটি ভেঙ্গে গেছে। পাশাপাশি তাদের যে অপারেশন ক্যাপাসিটি এখন সেটি সর্বনিম্ন পর্যায়ে আছে। হামলা করার জন্য তাদের যেসব অস্ত্র দরকার তাদের কাছে নেই।’
রিসার্চ ফেলো বাংলাদেশে ইন্সটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্ট্রাটিজিক স্টাডিজ এম আশিক রহমান বলেন, ‘জঙ্গিবাদ আসলে একটি আদর্শগত ব্যাপার এতে আদর্শিক বিষয় আছে। আর জঙ্গিবাদ দমনের ক্ষেত্রে এই আদর্শটাকে নিয়ন্ত্রণের বিষয়টাও ক্ন্তিু গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।’
এছাড়া নেতৃত্বের কোন্দলে নব্য জেএমবি আরো ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, নিজেদের দ্বন্দ্বের কারণে জঙ্গিরা ক্ষয়িষ্ণু হবে নাকি চোরাগোপ্তা হামলা বাড়তে পারে সে ব্যাপারে এখনই মন্তব্য করা যাবেনা।
তবে তাদের মতে, আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জঙ্গিবাদের আদর্শ থেকে উদ্বুদ্ধ হওয়া বন্ধে প্রয়োজন আরো জোরালো পদক্ষেপ।