গাংনীতে হত্যা মামলার আসামীর আতœীয়কে-কুপিয়ে আহত করেছে বাদী পক্ষের লোকজন
মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনীতে আ.লীগ কর্মী এনামুল হক নুইলু হত্যা মামলার প্রধান আসামীর ভাগ্না হোসনেয়ারা খাতুন মনুফাকে কুপিয়ে আহত করেছে বাদী পক্ষের লোকজন। আহত হোসনেয়ারা খাতুন (৪২) গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের মাইলমারী-ধলা গ্রামের মহিরুল ইসলামের স্ত্রী ও হত্যা মামলার প্রধান আসামী উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আতিয়ার রহমানের ভাগ্না।গত শনিবার দিবাগত মধ্যে রাতে মাইলমারী-ধলা গ্রামে কুপিয়ে আহতের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহত হোসনেয়ারা খাতুনকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এদিকে এনামুল হক হত্যাকান্ডের রাতে আটক রবিউল ইসলাম নাহিদকে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার ব্যাপারে আটক দেখানো হয়েছে। আটক নাহিদ লক্ষিণারায়নপুর ধলা গ্রামের বাসিন্দা।আহত হোসনেয়ারা জানান,আমি গত শনিবার রাতে নিজ ঘরে একা ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত ১২টার দিকে লক্ষিণারায়নপুর ধলা গ্রামের মৃত ভাষান আলীর ছেলে হিছাব উদ্দীন,সুলতান আলীর ছেলে সাহাদত আলী,ফরজ আলীর ছেলে কাবের আলী ও মাইলমারী গ্রামের ইয়ার বকসের ছেলে বাবলু হোসেন আমাকে রাম দাও দিয়ে কুপাতে থাকে। এ সময় আমি চিৎকার দিলে,তারা পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা নিহত এনামুল হক লইলুর লোকজন। আহত হোসনেয়ারা অভিযোগ করেন,প্রতিরাতেই নিহত এনামুল হক লইলুর ভাই আজমাইন হোসেন টুটুলের লোকজন অস্ত্র নিয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে মহড়া দিচ্ছে। তারা যেকোনো মহূর্তে এলাকায় বড় ধরণের ঘটনা ঘটাতে পারে বলে মহড়ায় প্রকাশ পাচ্ছে। উল্লেখ্য,গত ২৯ জুলাই (শনিবার) রাত ৯ টার দিকে গাংনী উপজেলার লক্ষিণারায়নপুর ধলা গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে ও কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজমাইন হোসেন টুটুলের ভাই এনামুল হক নুইলু পার্শ্ববর্তি নওয়াপাড়া পাড়া বাজার থেকে একটি মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। এনামুল নওয়পাড়া গ্রামের তার বন্ধু ইয়ারুল ইসলামের মেয়ে বিয়ের ক্ষীর খাওয়া অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বলে তার পারিবারিক সূত্র জানায়। সে নওয়াপাড়া ঈদগাহের নিকট পৌঁছালে, দুর্বৃত্তরা গাছের সাথে রশি টাঙ্গিয়ে তাকে পথরোধ করে। এ দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এনামুল হক নুইলুকে কুপিয়ে আহত করে। এছাড়াও তার একটি চোখ উপড়িয়ে ফেলে। এনামুলের আতœচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়। এ সময় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার ভোরে মারা যান।এনামুল হক লইলু নিহত হওয়ার ঘটনায় তার ভাই কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আজমাইন হোসেন টুটুল বাদী হয়ে গত ৩০ জুলাই (রোববার) গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।মামলা নং-৩৪। ওই মামলায় গাংনী উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমানসহ ৯জনকে আসামী করা হয়।