মুন্সীগঞ্জের লৌহজং পদ্মা সেতুর পিলার দৃশ্যমান হবে
রুবেল মাদবর মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি: পদ্মা সেতু আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দৃশ্যমান হচ্ছে। এ লক্ষ্যে নির্মাণকাজে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও দেশি-বিদেশি শ্রমিকরা। গত ২৩ জুলাই মূল সেতুর জাজিরা প্রান্তের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারেরওপরের লেয়ারের বেইজকংক্রিটিং সম্পন্ন হয়। এখন ঢালাইয়ের কাজ চলছে। আগামী ২৮ দিনের মধ্যে পিলার দুটির শতভাগ কাজ শেষ হবে। এর পরই এ দুটি পিলারের ওপর ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের সুপার স্ট্রাকচার বা স্প্যান বসিয়ে দৃশ্যমান করা হবে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, এ লক্ষ্যে এখন প্রকল্প এলাকায় ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলছে।অন্যদিকে শুক্রবার রাত থেকে মূল সেতুর ৩৬ নম্বর পিলারে পাইল ড্রাইভ করছে দুই হাজার ৪০০ কিলোজুল ক্ষমতাসম্পন্ন হাইড্রোলিক হ্যামারটি। তিন হাজার ৬০০ কিলোজুল ক্ষমতার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হাইড্রোলিক হ্যামারটি মাওয়ায় প্রকল্প এলাকায় পেঁৗছার পর তিনটি পাইল ড্রাইভ করার পরই তাতে কারিগরি কিছু সমস্যা দেখা দেয়। মূল সেতুর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানি সেতুর কাজ এগিয়ে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের একাধিক প্রকৌশলী জানান, তিন হাজার ৬০০ কিলোজুল ক্ষমতাসম্পন্ন বড় হ্যামারটি দিয়ে কাজ শুরু হলেও কারিগরি কিছু সমস্যা থাকায় পুরোদমে কাজ করতে বিলম্ব হচ্ছে। দুই হাজার ৪০০ কিলোজুল ক্ষমতার হ্যামারটি দিয়ে ভালোভাবেই পাইলিংয়ের কাজ করা হচ্ছে। তবে নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর হ্যামারগুলোর মবিল পরিবর্তন করাসহ সংস্কারমূলক কাজ করতে হয়। এ জন্য হ্যামারের সংখ্যা বেশি হলে একটি বা দুটি সংস্কারে থাকলেও অন্যগুলো দিয়ে পাইলিংয়ের কাজ চালু রাখা যাবে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী সূত্রে জানা গেছে, এক হাজার ৯০০ কিলোজুল ক্ষমতাসম্পন্ন জার্মানির আরেকটি হ্যামার ২২ জুলাই সিঙ্গাপুর থেকে রওনাহয় পদ্মা সেতু প্রকল্পের উদ্দেশে। ৩০ জুলাই মংলা বন্দরে পেঁৗছানোর পর সেখান থেকে এটি মাওয়ায় আনার পর পাইল ড্রাইভ কাজে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। এ ছাড়া সাড়ে তিন হাজার কিলোজুলের আরও একটি হ্যামার শতভাগ প্রস্তুত হওয়ার পর আগামী নভেম্বরের শেষদিকে মাওয়ায় পৌছাবে!