গাংনীতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী শশুর ও শাশুড়ীকে কুপিয়েছে পাষন্ড জামাই
মেহেরপুর প্রতিনিধি : মেহেরপুরের গাংনীতে দাবিকৃত যৌতুকের টাকা না পেয়ে রবিউল ইসলাম নামের এক পাষন্ড তার স্ত্রী ও শশুর শাশুড়ীকে কুপিয়েছে । শনিবার রাত ৮ টার সময় উপজেলার আজান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন,আজান গ্রামের আব্দুস সাত্তার (৪৫) ও তার মেয়ে সাবিনা খাতুন (২৩),আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী জাহানারা খাতুন(৪০)। আহতদের গাংনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গাংনী থানা পুলিশ পাষন্ড জামায় আজান গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম কে আটক করেছে।
আহত আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী জাহানারা খাতুন জানান,তার মেয়ে সাবিনা খাতুনের সাথে প্রায় ৮/৯ বছর পূর্বে আজান গ্রামের আমিরুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলামের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় নগদ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক হিসেবে দেয়া হলেও বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের দাবিতে মারধর করে।
আহত জাহানারা খাতুন আরো জানান,শনিবার রাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমে মেয়ে সাবিনাকে কুপিয়ে আহত করে। বাধা দিতে আসলে সাবিনার পিতা আব্দুস সাত্তার ও আমাকে কুপিয়ে আহত করে পাষন্ড জামাই রবিউল ইসলাম। চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এসে পাষন্ড জামাই কে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে রেখে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গাংনী হাসপাতালে ভর্তি করে।
গাংনী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক এম কে রেজা জানান,সাবিনা খাতুনের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধরালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। এছাড়া জাহানারা খাতুন ও তার স্বামী আব্দুস সাত্তারের শরীরে কোপানোর হয়েছে। আহতদের শরীরের বেশ কয়েকটি শেলাই দেয়া হয়েছে। আহত আব্দুস সাত্তার ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা জানান,হত্যার উদ্যেশে সাবিনা খাতুন কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। ইতো পূর্বে তার মেয়ে কে যৌতুকের কারনে মারধর করতো। অভিযুক্ত পাষন্ড জামাই রবিউল ইসলামের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি করেছে ভুক্ত ভুগীর পরিবার। গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান,রবিউল ইসলাম কে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।