ফারাক্কার পানিতে ভাঙ্গনের কবলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিস্তীর্ণ অঞ্চল
ফারাক্কা থেকে নেমে আসা পানির ঢলে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাঁকা, নারায়নপুর, চরবাগডাঙ্গাসহ ৬টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকার বাড়িঘর, দোকানপাট, ফসলি জমি ও বাগান বিলীন হচ্ছে। প্রতিবছর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে এসব এলাকার শতশত পরিবার।
এলাবাসীর অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে এইসব এলাকায় ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলেও কোনো ব্যবস্থান নিচ্ছেনা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
দুঃখ দুর্দশার কথা বলছিলেন পাঁকা ইউনিয়নের গমেরচর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সুচেন চন্দ্র রবীদাস। পদ্মার ভাঙ্গনে গত ৭৩ বছরে ১৭বার বাড়ি ভেঙ্গেছেন তিনি। এলাকায় তার মত অসংখ্য মানুষ রয়েছে যাদের ঘরবাড়ী একাধিকবার ভেঙ্গে নিয়ে গেছে আগ্রাসী পদ্মা। একই অবস্থা চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের রোডপাড়া ও মালাবাগডাঙ্গাসহ বেশ কিছু এলাকার। অব্যাহত ভাঙ্গনে প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ী, ফসলী জমীসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল। সব কিছু হারিয়ে কোথায় আশ্রয় নেবেন তাও অনেকে জানেন না ।
তাই কৃষি নির্ভর এসব মানুষের একটাই দাবি ভাঙ্গন প্রতিরোধে যেন নেয়া হয় কার্যকর ব্যবস্থা। চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে ভাঙ্গন প্রতিরোধ প্রকল্পের একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে থাকলেও পাঁকা ও উজিরপুর নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের। তবে এই দুটি ইউনিয়নের ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়ার পরিকল্পনার কথা জানালেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ সংসদ সদস্য মোহাঃ গোলাম রব্বানী বলেন, ‘সেখানে একটা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করে সেখানে স্থায়ী ভাবে সংরক্ষণ করা যায় সে ব্যাপারে অবশ্যই মাননীয় পানি সম্পদমন্ত্রী মহোদয় এর কাছে উত্থাপন করবো ইনশাআল্লাহ। ’