দু’উপজেলাবাসির স্বপ্নপূরণ ছাতকে অবশেষে সুরমা সেতুর কার্যাদেশ
চান মিয়া, ছাতক প্রতিনিধি,
অবশেষে সুরমা সেতুর কার্যাদেশ দেয়ায় ছাতক ও দোয়ারাবাসির দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৪আগষ্ট) ত্রিশ কোটি উনপঞ্চাশ লক্ষ পচাঁশি হাজার একশত চুয়াত্তর দশমিক ছয় শূন্য তিন টাকায় মেসার্স জন্মভূমি নির্মাতা ও দ্যা নির্মিতকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এর নির্মাণ কাজ শুরু করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০০৪সালের ২৩আগস্ট সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের পর একটি বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ২০০৬সালের জানুয়ারি মাসে ১৮কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মান কাজ শুরু হয়। ৩বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে ৮কোটি টাকা ব্যয় করে নদীর দু’তীরে সেতুটির চারটি পিলার (স্তম্ভ)সহ ভিত্তি নির্মাণ শেষে ২০০৭সালে তত্বাবধায়ক সরকার আমলে কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে। এরপর প্রকল্পটি সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) থেকে বাদ দেয়ায় অনেকটাই সেতুর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এরপর ২০১০সালে সেতুটির অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে ৫১কোটি টাকার একটি সংশোধিত প্রকল্প যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। এআবেদনের পর আবারো নতুন করে ১শ’ ১২কোটি ৯৯লাখ ৪৯টাকার প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। ২০১৬সলর অক্টোবর মাসে পরিকল্পিত এপ্রোচ ও নেভিগেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে সেতু নির্মানে ১শ’ ১৩কোটি টাকার প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। এতে দু’পারের এপ্রোচের জন্যে ২০একর ভূমি অধিগ্রহন জটিলতা শেষে অবশেষে ২৪আগষ্ট সেতু নির্মান কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সজিব আহমদ জানান, মূল সেতুর দরপত্র মুল্যায়ন এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এটি অনুমোদনের জন্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পূর্বের ৪টি পিলারের সাথে নতুন ৩টি পিলার সংযোজন করেই সেতুর কাজ সম্পন্ন করা হবে তিনি জানান।
সুরমা সেতুর নির্মাণ পরিকল্পনা শুরু হয় ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে। তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সেতু তৈরির প্রাক্কলন তৈরির নির্দেশনাও দিয়েছিলেন। পরে বিএনপি সরকার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলেও নানা অসংগতির কারনে তত্ত্বাবদায়ক সরকার প্রকল্পটি বাতিল করে দেয়। ২৪শে আগস্ট ছাতক-দোয়ারাবাসির জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পরিকল্পনামন্ত্রী আ.হ.ম. মুস্তফা কামাল, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান ও মুহিবুর রহমান মানিককে দু’উপজেলাবাসির পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।