মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ফেরিঘাটে ফেরিতে উঠতে পুলিশ ও একটি প্রভাবশালী মহলকে অন্তত ৫টি স্পটে ৩ থেকে ৬ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয় ট্রাক চালকদের। গত কয়েক বছর ধরে এই অবস্থা চললেও অসহায় ট্রাক চালকরা পাচ্ছেন না কোন প্রতিকার। বিআইডব্লিউটিসি’র দাবি, তারা শুধু ফেরিতে গাড়ি পারাপারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, চাঁদাবাজির কোন অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নদীতে রাতে, ডুবোচর, ফেরি নষ্ট কিংবা শীতে ঘন কুয়াশার কারণে দীর্ঘ সময় ফেরি চলাচল বন্ধসহ বিভিন্ন বৈরি পরিস্থিতিতে বাড়ে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে চাঁদাবাজির হার।
তবে, এই হার সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায় ঈদে। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ‘ভাঙ্গা বিশ্বরোড মোড়’ থেকে শুরু করে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে ফেরিতে উঠতে ৫ থেকে ৬ দফার বেশি চাঁদা দিতে হয় হাইওয়ে পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ ও ঘাটের নিয়ন্ত্রক প্রভাবশালী চাঁদাবাজদের।
এর মধ্যে ‘ভাঙ্গা বিশ্বরোড মোড়’ প্রথম দফা, হাজী শরীয়তুল্লাহ সেতুর কাছে দ্বিতীয়বার, পাঁচ্চর বাজারে ওজন স্কেলের কাছে তৃতীয়, ঘাটের কাছে পুলিশের সিরিয়ালে চতুর্থ দফা এবং ফেরিঘাটের বাঁশকলের কাছে আনসারকে পঞ্চম দফা চাঁদা দিতে হয়।
এমনকি ফেরিতে ওঠার সময়ও চাঁদাবাজদের আরেক দফা মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে হয় বলে অভিযোগ ট্রাক চালকদের।
বিআইডব্লিউটিসি জানায়, গাড়ির সিরিয়ালের দায়িত্ব পুলিশের। তারা শুধু যানবাহনের নির্ধারিত টাকা নিয়ে রশিদ দিয়ে ফেরিতে গাড়ি ওঠানো ও পারপারের ব্যবস্থা করেন।
চাঁদাবাজির এমন ঘটনা জানা নেই দাবি করে হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তা জানান, সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটে প্রতিদিন ৩ শতাধিক ট্রাক পারাপার হয়।