উত্তর পতেঙ্গা যৌথ কল্যাণ শ্রমজীবি সমবায় সমিতির প্রায় ২কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সভাপতি মাসুদ শরীফ উধাও
ভ্রাম্যমান সংবাদ দাতাঃ২৮আগষ্টঃ/শ্রমজীবী নারী-পুরুষ এবং সারধারণ জনগণ সামন্য সঞ্চয়ের আশায় সমবায় সমিতি (মাল্টিপারপাস) বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বেতনের কিছু অংশ। এই অংশের টাকা থেকে মাসে ,বছরে বা বিভিন্ন মেয়াদে ধার নিয়ে নিজেদের স্বচ্ছল করার চেষ্টা করলেও বেশি অর্থেই প্রতারিত হচ্ছেন এসব স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী গণ মানুষ । জমা টাকার বিপরীতে ধারে টাকা ফেরত পেতে অনেক সময় স্থানীয় শালীস দরবারও করতে হচ্ছে বলে এক ভুক্তভোগী মরিয়ম জানান।
এই প্রতারণার সবচেয়ে বড় একটি চক্র ইতিমধ্যে শ্রমজীবী গ্রাহকদের প্রায় ২কোটি টাকার উপরে অর্থ নিয়ে উধাও হবার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পতেঙ্গা থানাস্থ উত্তর পতেঙ্গা যৌথকল্যাণ শ্রমজীবী সমবায় সমিতি (মাল্টিপারপাস) নামে সংগঠনের সভাপতি মোঃ মাসুদ শরীফ সম্প্রতি শত শত গ্রাহকের প্রায় ২কোটি টাকার উপরে হাতিয়ে পালিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে । তার গ্রামের বাড়ী মঠবাড়ীয়া এবং জেলা পিরোজপুর (বরিশাল)’র মতৃ তোতাম্বর শরীফের পুত্র বলে পতেঙ্গা থানার জিডি সূত্রে জানা যায়। সে ৪০নং ওয়ার্ড (নতুন পোষ্ট অফিস)গলি একটি ভাড়াঘরে দীর্ঘদিনযাব বসবাস করছিলেন বলে সমিতির স্থানীয় সদস্যরা জানান।
অভিযোগ ও জিডি সুত্রে জানা যায় যে,মাসুদ ঐ প্রতিষ্ঠানের সভাপতি পদে থেকে গ্রাহকদের প্রায় ২/৩কোটি টাকা সঞ্চয় থেকে কিছু টাকা উত্তোলন দিয়ে বাকী টাকা নিয়ে বেশ কয়েক মাস উধাও হয়ে যান। বর্তমানে সমিতির অফিসে জমিদার তালা ঝুলিয়ে দেন বলে ভুক্তভোগী রহিম জানান।
এ ব্যাপারে সমিতির সাঃসম্পাদক বাবু রতন দাশ জানান, সভাপতি মাসুদ গ্রাহকদের কোটি টাকার উপরে কোন হিসাব না দিয়ে দীর্ঘ দিন আত্ম গোপনে গেলে গ্রাহর গন পাওনা-জমা ফেরত নিতে ভিড় জমান। কিন্তু জমা দিতে না পারায় তারা দফায় দফায় স্থানীয় আঃলীগ নেতা ফরিদের কাছে বিচার চাইলে তিনি টাকার জন্য চাপ দিলে মার্চ মাস থেকেই গা ডাকা দেন। রতন আরো জানান, তিনি সমিতির লভ্যাংশ পাবেন এবং তার মাধ্যমে হিসাব বই করাদের নিজেই তা ফেরত দিয়ে দেন বলে জানান।
এদিকে দিদার নামে স্থানীয় যুবকের প্রায়৫/৭লাখ টাকা ,দুলাল নামে অপর আরো এক জনের ৯/১০লাখ টাকা না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে জিডি (১৮২/১৭)নং সূত্রে জানা গেছ্ ।এছাড়া এমটিবি ব্যাংক পতেঙ্গা শাখার একটি চেকে (এস/বি চেক নং -৯০১৪৫৮) ৯লাখ ৫০হাজার টাকা দিলে ও তা ডিজঅনার হয়ে বর্তমানে কোর্টে চেক প্রতারনা মামলা দায়ের হয় বলে ঐ গ্রাহক জানিয়েছেন । নিকটস্থ থানা পুলিশ অভিযুক্ত মাসুদ শরীফ কে বেশ কয়েকবার আটক করলে সমাধান করার কথা বরে ছেড়ে দিলে সে এখন পালায়। তবে সেকেন্ড অফিসার জানান, তাকে পাওয়া মাত্র আটক করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্র ওসির চুড়ান্ত নির্দেশ আছে বলে ওজানান।
গত কয়েকদিন যাবত সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে শত শত গ্রাহক প্রতিদিন বিকেলে হলেই সমিতির সামনে পাওনা টাকার জন্য ভিড় করছে । তবে প্রতারক মাসুদ কে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতা কৌশলে পালাতে সহায়তা করেছেন বলে সদস্যরা অভিযোগ করেন। এছাড়া নবোদয় সমিতির এনামমুল হক (এনাম) নামে আরো একজন বিপুল পরিমান টাকা নিয়ে গা ডাকা দেন বলে রতন বাবু নামের অপর সমিতির সাঃসম্পাদক ও গ্রাহক জানান। আরো বেশ কয়েটি সমিতির নামে বিস্তর প্রতারনার অভিযোগ তথ্য প্রমান দেন ভুক্তভোগ গ্রাহকরা।
অপর দিকে ইপিজেডের কাজীর গলিস্থ(জলিল মালুমবাড়ী)আবু তৈয়বের স্ত্রী বেবী আক্তার বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন থেকেপ্রায় ২৫/৩০লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছেন বলে পাওনাদার মিসেস রেহানা বেগম অভিযোগ দেন। ভুক্তভোগ নারী-পুরুষ গ্রাহকরা উচ্চ প্রশাসনের নিকট এসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশেষ আবেদন জানাচ্ছেন।