আসছে পর্যটক, সুদিন ফিরছে সিলেটের হোটেল ব্যবসায়
টানা বন্যায় গত ক'মাস সিলেটে পর্যটকদের তেমন আনাগোনা ছিলোনা। প্রতিকূল আবহাওয়ায় অনেক পর্যটকই হোটেল বুকিং বাতিল করেন। এতে ক্ষতি মুখে পড়ে হোটেল ব্যবসা। তবে এখন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ঈদের ছুটিতে লক্ষাধিক পর্যটক সিলেটে ভিড় করবেন বলে আশা পর্যটন সংশ্লিষ্টদের।
বর্ষায় বৃষ্টির ছোঁয়া পাওয়া সাথে সাথে সিলেটে প্রকৃতি নিজেকে সৌন্দর্য প্রেমীদের জন্য অপরূপ সাজে মেলে ধরেছে। বর্ষায় তাই এ অঞ্চলে পর্যটকদের ভিড় বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এবার ভাদ্রমাসেও ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় সিলেটে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক ভিড় করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পর্যটকদের অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলো। সময়ের সাঙ্গে পাল্লা দিয়ে শহরের পাশাপাশি পর্যটন স্পটগুলোর পাশেও বেড়েছে থাকার সুযোগ সুবিধা। ঈদে হোটেলগুলো পর্যটকদের দিচ্ছে নানা সুযোগ সুবিধা।
জৈন্তিয়া হিল রিসোর্টের এমডি ফয়েজ আহমেদ বাবর বলেন, 'এখানে সুপার ডিলাক্স, ডিলাক্স এবং এসি, নন এসি বিভিন্ন ধরণের রুম আছে। তার সাথে সাথে আমাদের পার্শ্ববর্তী যে চা বাগান আছে সেগুলো গাইডের মাধ্যমে দেখাই।'
হোটেল ব্যবসার সাথে জড়িত সিলেট চেম্বার সভাপতি জানান, বুকিংয়ের হার ভাল হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি নেমে এসেছে।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, 'যে হারে আসার কথা সেই হারের যদি অর্ধেকও আসে তাহলেও আমরা মনে করছি আমাদের পূরণ হয়ে যাবে।'
পুলিশ বলছে, ঈদে পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। থাকবে জঙ্গি দমনের প্রস্তুতিও।
এসএমপি'র অতিরিক্ত কমিশনার এস. এম রুকন উদ্দিন বলেন, 'প্রতিনিয়ত আমরা এখানকার হোটেলগুলো পরিদর্শন করি। কোরবানির ঈদে আমরা আশা করি খুব নির্বিঘ্নে এবং নিরাপদের ভেতর দিয়ে পার করতে পারবো।'
দুমাস বন্ধ থাকার পর দেশের সর্বোচ্চ জলপ্রপাত মাধবকুণ্ডে পর্যটক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজারেও বেড়ে গেছে হোটেল বুকিং।