আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী রেজাউল করিম শামীম’র আনুষ্ঠানিক ঘোষণা
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাচনাবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: রেজাউল করিম শামীম নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ (জামালগঞ্জ-তাহিরপুর.ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন। জামালগঞ্জ-তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর এলাকার তৃণমুল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে শনিবার উপজেলার সাচনাবাজার উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ছয় ইউনিয়নের তৃণমূল নেতাকর্মীদেও নিয়ে মতবিনিময় সভায় এই ঘোষণা দেন। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন জামালগঞ্জ উপজেলা আ’লীগ সভাপতি হাজী মোহাম্মদ আলী তালুকদার। উপজেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক সমরেন্দ্র আচার্য্য সম্ভু’র সঞ্চালানায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-১ নির্বাচনী আসনে আওয়ামীলীগ’র মনোনয়ন প্রত্যাশী রেজাউল করিম শামীম। তিনি বলেন, আমি ছাত্র জীবন থেকে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে আমার প্রাণের সংগঠন আওয়ামীলীগের তৃনমূলকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র বলিষ্ট নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। তাঁরই একজন সৈনিক হয়ে বিগত সকল জাতীয় নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে আমার নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জ-১ আসনে আজীবন কাজ করে যাচ্ছি। আগামী জাতীয় নির্বাচনে তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের জনসমর্থনের চাপে আমি আগামী নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামীলীগের দলীয় প্রতীক নৌকা নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। আমার বিশ্বাস সুনামগঞ্জ-১ আসনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার প্রতি সদয় দৃষ্টি দেবেন। তিনি আরো বলেন, আমার দীর্ঘ জীবন দলের জন্য উৎসর্গ করে জেল, জুলুমের শিকার হয়েছি। এলাকার মানুষ আমার কর্মকাÐে দুই বার বিপুল ভোটের ব্যবধানে সাচনাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। আমি ছাত্র জীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে ছাত্রলীগের রাজনীতি করে আসছি, ১৯৭৪-’৭৫ সালে সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, পরবর্তীতে সিলেট জেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য, জামালগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সেক্রেটারী, জামালগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি, ১৯৯৩-’৯৭ পর্যন্ত তিনবার জামালগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৭ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়ীত্ব পালন করে দলকে তৃণমূলে সুসংঘটিত করে আসছি। হাওর এলাকার স্মরণকালের অকাল বন্যায় সৃষ্ট দুর্যোগে হাওরাঞ্চলের মানুষের পাশে বার বার গিয়ে সাহস যুগিয়েছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে আমি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছি। আমার নির্বাচনী এলাকার জনগনের প্রতি আমার যথেষ্ট আস্থা ও বিশ^াস রয়েছে। দলের স্বার্থে প্রতিটি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে দলকে সুসংগঠিত করেছি। তৃণমূল নেতাকর্মী ও ভোটাররা আমাকে নৌকার প্রার্থী হতে উৎসাহ ও সাহস যোগীয়েছেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ধর্মপাশা উপজেলা আ’লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর কবির, সাবেক চেয়ারম্যান ও যুগ্ম সম্পাদক মোবারক হোসেন, জামালগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি দ্বীজেন্দ্র লাল রায়, স্বপন রায়, নিশেন্দু রায়, সাধারণ সম্পাদক হাজী এম.নবী হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সত্যেন্দ্র কুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক মোবারক আলী তালুকদার, সদর ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল খালেক তালুকদার, ফেনারবাঁক ইউনিয়ন সভাপতি নুরুল হুদা চৌধুরী খোকন, বেহেলী ইউনিয়নের সভাপতি নির্মাল্য কান্তি রায় সসীম, রহিছ উদ্দি চৌধুরী, ভীমখালী ইউনিয়নের সভাপতি আখতারুজ্জামান শাহ্, সাচনাবাজার ইউনিয়নের সভাপতি জয়নাল আবেদীন মাষ্টার প্রমুখ। এ সময় আ’লীগ,যুবলীগ, ছাত্রলী, স্বেচ্চাসেবক লীগ, কৃষকলীগ,শ্রমিকলীগের নেতাকর্মীরা স্বতর্স্পুত অংশগ্রহনে সমর্থন জানান।