গ্রামবাসির অভিযোগ নেশার টাকার জন্য মেরে ফেলা হয়েছে ছেলের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পিতার আত্মহত্যা
ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ
ঝিনাইদহ শহরের নিজ মথুরাপুর গ্রামে রোববার বিকালে শ্রী মন্টু কমার বিশ্বাস (৬৫) মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ওই গ্রামে মৃত আদ্দিনাথ বিশ্বাসের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ তার বড় ছেলে মৃত্যুঞ্জয়ী বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছে। তবে গ্রামবাসির অভিযোগ নেশার টাকা না পেয়ে মন্টু কুমারকে নির্যাতন করে ছেলে মৃত্যুঞ্জয়ী। এতে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মুখে বিষ ঢেলে দেয়। প্রতিবেশি দুর্গা রানী, প্রফুল্ল কুমার ও দিবস অধিকারী জানান, মৃত্যু যন্ত্রনায় মন্টু কুমার ছটফট করতে থাকলে তারা সদর হাসপাতালে পাঠান। তাদের ধারণা মন্টুকে নির্যাতনের পর মুখে বিষ ঢেলে অথবা নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সে নিজেই আত্মহত্যা করতে পারে। কারণ গত তিন বছর ধরে ছেলের হাতি নর্িাতিত হচ্ছেন মন্টু কুমার। তাদের সাথে সায় দেন একই গ্রামের রবিউল মাস্টার, মহর আলী, শরিফুল ইসলাম ও বাউল মন্ডল। গ্রামবাসির ভাষ্য তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই শামছুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে আমি লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। তিনি বলেন, এ নিয়ে অনেক অভিযোগ থাকলেও ময়না তদন্তের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আপাতত এটি অপমৃত্যু মামলা হিসেবেই গ্রহন করা হবে। তিনি জানান, লাশের সাথে তার দুই ছেলে এসেছে। তাদের আটক বা গ্রেফতরা করা হয়নি। তবে গ্রামবাসিদের অভিযোগ মন্টু কুমার যদি আত্মহত্যা করেও থাকেন তবে এটি প্ররোচনা মুলক আত্মহত্যা, যা দেশের প্রচলিত আইনে দোষী ব্যক্তির সাজার বিধান রয়েছে।