স্বামীর পরকীয়ায় কেড়ে নিল গৃহবধু রেখার জীবন।
গত পাঁচদিন ধরে ঝলসে যাওয়া শরীর নিয়ে অসহ্য যন্ত্রণায় কাতর দেহ এখন নিথর হয়ে গেছে। গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। বার্ন ইউনিটের ইনচার্জ ডা. আফরোজা নাজনীন বলেন, গৃহবধূ রেখার শরীরের ৮০ ভাগ আগুনে ঝলসে যায়। এছাড়া তার ডায়াবেটিক ও উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মহানগরীর দরগাপাড়া নদীর ধার এলাকায় পেট্রোল-এর আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়। এতে করে তার সারা শরীর ঝলসে যায়। তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, তিনি মৃত্যুকালিন জবানবন্দিতে ছোট বেলার বান্ধবী ফেরদৌসী তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দেন। তার স্বামীর সাথে ফেরদৌসীর পরকীয়া ছিল বলে তিনি জানান। অবশেষে স্বামী কামর্বলের পরকীয়ার বলি হতো হলো স্ত্রী রেখাকে। তিনি দুই সন্তানের জননী ছিলেন। এরআগে রেখার অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার রাতেই অভিযান চালিয়ে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ফেরদৌসিকে জোতমহিষের কসাইপাড়া থেকে আটক করে। তিনি উক্ত এলাকার আলম হোসেনের মেয়ে। এ ঘটনায় রেখা বেগমের বড় ভাই নওশাদ আলী থানায় মামলা করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত ফেরদৌসী বর্তমানে পুলিশের একদিনের রিমান্ডে রয়েছে এবং কামর্বল জেল হাজতে। কামর্বলের রিমান্ডের আবেদন জানাননি পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম বাদশা বলেন, গতকাল ফেরদৌসীর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। তাকে থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা চেষ্টার মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে বলেও জানান তিনি।