গাংনী অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগে এবার শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন
এম এ লিংকন,মেহেরপুর : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউপির সহড়বাড়িয়া গ্রামে অনৈতিক কর্মকান্ডের সময় রিপন হোসেন ও রিনা খাতুন নামের দু কপোক কপোতিকে আটক করে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছে স্থানীয়রা। সোমবার রাতে রিনার’র বাড়ির পার্শে একটি মেহগুনি বাগানের মধ্যে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের আটক করে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে মেয়ে পিতা ফজলুল হক,ভাতিজা স¤্রাট আলী। এসময় ইউপি সদস্য অজিজুল হক সহ ও স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। রিপন হোসেন (৩৩) সহড়াবাড়িয়া গ্রামের আরজ আলীর ছেলে ও ষোলটাকা ইউপি আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আহার আলীর ভাতিজা এবং রিনা খাতুন একই গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে। রিনা খাতুন জানান,রিপন হোসেন আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন দেহভোগ করে আসছিলো। আমি রিপনের সাথে বিয়ে করে সংসার করতে চাই। রিপন হোসেনের বিরুদ্ধে ৫/৬ টি বিয়ে সহ এলাকায় নানা অপকর্ম করে এমন অভিযোগ করে রিনার বাবা ফজলুল হক জানান, মঙ্গলবার রাতে বাড়ির পার্শে একটি বাগানে তার মেয়ে রিনার সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকাবস্থায় তাদের দুজনকে আটক করা হয়। লম্পট রিপন হোসেন পালিয়ে যাবে এজন্য ইউপি সদস্য আজিজুল হক ও স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের দুজনকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। পরে পুলিশ এসে রিপন ও রিনাকে গাংনী থানায় নিয়ে যায়।
রিপন হোসেন বেশ কয়েকটা বিয়ের কথা শিকার করে বলেন,টাকার বিনিময়ে রিনার সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলাম। অপরাধ করলে আইন আমাকে সাজা দেবে। কিন্তু ইউপি সদস্য আজিজুল হক সহ রিনার বাবা ও তাদের সহযোগীরা আমাকে শিকল দিয়ে বেঁেধ নির্যাতন করে। আমি নির্যাতনের বিচার চাই।
ইউপি সদস্য আজিজুল হক বলেন,রিপন ও রিনাকে শিকল দিয়ে বাঁধার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তবে ঘটনার সময় আমি একটু দুরে দাড়িয়ে ছিলাম।
গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান,অভিযুক্তদের থানায় আনা হয়েছে। উভয় পরিবারের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।