বেনাপোল বন্দরে হাজার হাজার কোটি টাকার আমদানি পন্য অরক্ষিত
শহিদুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি :স্থল বন্দর বেনাপোলে খোলা আকাশের নীচে রোদ বৃষ্টিতে ভিজে হাজার হাজার কোটি টাকার আমদানিকৃত পন্য গুনগত মান নষ্ট সহ অরিক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
চুরি ডাকাতি রৌদ্র বৃষ্টিতে ভিজে পন্যর গুনগত মান বিনষ্ট সহ নানান ধরনের শঙ্কা নিয়ে আমদানি কারকরা অত্যান্ত ঝুকির ভিতর ব্যবসা করছে।
শনিবার সকালে বেনাপোল স্থল বন্দরের ৩০, ৩১ নং ওপেন ইয়ার্ডে যেয়ে দেখা যায় সেখানে খোলা আকাশের নীচে আমদানিকৃত হাজার হাজার কোটি টাকার পন্য অযন্তে অবহেলায় পড়ে রয়েছে।
সুত্র জানায়, এসব আমদানি কৃত পন্যর জন্য বেনাপোল স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের নেই প্রয়োজনীয় কোন নিরাপত্তা কর্মী। আছে প্রতি ইয়ার্ডে একজন করে মাত্র আনছার সদস্য তারা আবার অস্ত্রবিহীন। এসব সদস্যদের বেধে রেখে পন্য চুরি ডাকাতি ছিনতাই হয়ে যায়। সম্প্রতি একজন আনসার সদস্য সন্ত্রারাসীদেরকে বাধা দেওয়ায় তারা ঐ আনসার সদস্যকে বেধড়ক মারপিট করে হত্যা করে।
আমদানিকৃত পন্যর ভিতর সবথেকে বেশী অসুবিধা কাচা পন্যর। ভারত থেকে কাচামাল ফল পিয়াজ, মাছ, চাউল সহ অন্যন্য পন্য খোলা আকাশের নিচে থেকে রৌদ বৃষ্টিতে গুনগত মান নষ্ট হচ্ছে। আর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ব্যবসায়িরা।
বেনাপোল বন্দরে ১০৮ কোটি টাকার কাজ চললে সংশ্লিষ্ট ইয়ার্ডে রোদ বৃষ্টি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কোন ছাওনির ব্যাবস্থা হচ্ছে না বলে সুত্র দাবি করে।
বেনাপোল আমদানি রফতানি সমিতির সহ সভাপতি আমিনুল হক জানান, বেনাপোল বন্দর থেকে কোটি কোটি টাকা সরকারকে বছরে রাজস্ব দিলে ও উন্নয়নের কোন ছোয়া না লাগায় বেহাল দশার ভিতর দিয়ে ব্যাবসায়ির আমদানি রফতানি করতে হচ্ছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ডের সভাপতি মফিজুর রহমান স্বজন বলেন, সরকারকে প্রতিবছর এ বন্দর থেকে পরোক্ষ ও প্রত্যাক্ষ ভাবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আমরা ব্যবসায়িরা দিয়ে থাকি। তারপর ও বন্দরের নিরাপত্তা সহ আমদানি পন্যর নিরাপত্তার ও কোন ব্যবস্থা নাই। এ বন্দর থেকে প্রায় রাত্রে চুরি হওয়ার মত ঘটনা ও ঘটে বলে তিনি জানান।
নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায় এশিয়া মহাদেশের ভিতর সবচেয়ে বড় স্থল বন্দর বেনাপোল। সেখানে সিসি ক্যামেরার আওতায় না থাকার জন্য দুবৃত্তরা নানান সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য যে কোন সময় সুযোগ বুঝে চুরি ডাকাতি ছিনতাই করে থাকে।
বেনাপোল বন্দরের সিবিএ নেতা মনির হোসেন মজুমদার জানান আমরা সিসি ক্যামেরা বন্দরে নিরাপত্তা কর্মী বাড়ানো ও আমদানি পন্য যাতে নষ্ট না হয় সে ব্যপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।