টঙ্গীতে বকেয়া পরিশোধ না করেই ডায়াগনস্টিক বন্ধের পায়তাঁরা : শ্রমিকদের ক্ষোভ
মো.রবিউল ইসলাম,টঙ্গী :
গাজীপুরের টঙ্গী দেওড়া কাঁঠালদিয়া হাজীবাড়ি এলাকায় সেফওয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করেই তা বন্ধের পায়তাঁরার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় আজ রোববার সকালে ওই ডায়াগনস্টিকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ডায়াগনস্টিক কর্তৃপক্ষ বাড়িভাড়ার চুক্তিপত্রের শর্তের লঙ্ঘন করে বাড়ির মালিকের পাওনা বুঝিয়ে না দিয়েই বেশ কয়েকবার মেশিনপত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
সেফওয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপক হাদিউর রহমান বলেন, গত ২০১৬ সালে আবু ফারাহ মো. ফারুক ও শাহিদা খানম তিন বছরের জন্য ওই বাড়ি ও দোকান ভাড়া নিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু করেন। শুরু থেকে এপর্যন্ত ওই প্রতিষ্ঠানটি ভালোভাবে চললেও গত কোরবানীর ঈদের পর থেকেই কর্তৃপক্ষ হঠাৎ করে সেটি বন্ধ করে দেয়ার পায়তাঁরা শুরু করে। ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্র অনুযায়ী বাড়ি ছাড়ার ছয় মাস পূর্বে বাড়ির মালিককে নোটিশ দিয়ে জানানো ও বাড়ির অবকাঠামো পুন:নির্মাণ করে দেয়ার শর্ত থাকলেও ডায়াগনস্টিক কর্তৃপক্ষ তা মানতে রাজি নন। তারা স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে চুক্তিপত্রের শর্ত লঙ্ঘন করে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সেফওয়ে ডায়াগনস্টিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু ফারাহ মো. ফারুক তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কানাডার নাগরিক। আমাকে পরিবার পরিজন নিয়ে সেদেশে জরুরি প্রয়োজনে চলে যেতে হচ্ছে। আমি বাড়ি ছাড়ার নোটিশ জায়গার মালিককে দিয়েছি। এছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোন বেতন বকেয়া নেই। তারা শুধু চলতি মাসের বেতন পাবেন। আমি তা নিশ্চয়ই পরিশোধ করে দিব।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাড়ির মালিক মো. নোয়াব আলী ক্ষোভের সাথে বলেন, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাড়ি ও দোকান ভাড়া চুক্তিপত্রের শর্তভঙ্গ করেছেন। প্রতি মাসে ৩৪ হাজার টাকা ভাড়া দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি আমাকে ২৫শতাংশ মালিকানা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শুধু প্রতিমাসে ১৭ হাজার টাকা করে ভাড়া প্রদান করেছেন। আমাকে ডায়াগনস্টিকের মালিকানা তো দেননি বরং কৌশলে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ করে দিয়ে সটকে পড়ার পায়তাঁরা করছেন। আমি প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেব।