নীলফামারী ডিমলায় স্কুল ছাত্রীর ভিডিও ইন্টারনেটে দেয়ার অভিযোগে আটক-৩
শাহ মো: জিয়াউর রহমান,নীলফামারী অষ্টম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর করার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে দুই স্কুল ছাত্র ও এক কলেজ ছাত্রসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ শনিবার এদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার জটুয়াখাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন খড়িবাড়ী গ্রামের সোবাহান আলী ছেলে রিমন (১৬) একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্র উক্ত ইউনিয়নের পূর্ব খড়িবাড়ী গ্রামের আবেদ আলীর ছেলে জয়নাল আবেদিন (১৬) ও একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে গয়াবাড়ী স্কুল এ্যান্ড কলেজ ছাত্র মিজানুর রহমান (১৯)। আটককৃতদের মধ্যে রিমন নিজে ওই ছাত্রীটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়ে যৌন হয়রানীর করে ভিডিও ধারনা করে। বাকী দুইজন রিপনকে ওই কাজে সহযোগীতা করেছিল। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা ডিমলা থানায় উক্ত তিনজনকে আসামী করে মামলা দিয়েছে। ছাত্রীটির অভিযোগ গত ৩ মাস আগে বিদ্যালয়ে প্রাইভেট পড়ার সময় মিজানুর রহমান আমাকে ডেকে এনে স্কুলের কমনরুমের পেছনে রিমনের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। আমি কথা বলতে আপত্তি করলে রিমন আমাকে ঘটনার দিন মারপিট ও জোড়পূর্বক জড়িয়ে করে এবং জোরপূবক আমাকে জড়িয়ে ছবি তুলতে বাধ্য করেন। পরবর্তীকে রিমন বিভিন্ন সময় বিদ্যালয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় আমার গতিরোধ করে আমাকে হুমকি দেন তার সাথে প্রেম না করলে সে আপত্তির ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকী দেয়। ছাত্রীটির বাবা আজিজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ওই তিন বখাটের হুমকীকে গত ৫দিন থেকে আমার মেয়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারে নাই। বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যানকে অভিযোগ করি। এতে বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার মেয়ের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। জটুয়াখাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুর আলম বলেন, ছাত্রীটির পিতা আমাকে অভিযোগ করেছে। বিষয়টি আমি অভিযুক্তদের পিতাকে অবগত করলে তারা অস্বীকার করেছিল। ডিমলা থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মোবাইলে ছাত্রীকে জোড়পূর্বক আপত্তিকর ধারণকৃত ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ ওই তিনজনকে আটক করা হয়।