অবৈধ চাল মজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ বাণিজ্যমন্ত্রীর
খাদ্য অধিদপ্তরের ঘোষণার পরেও দেশের বেশিরভাগ এলাকায় এখনো পুরোপুরি শুরু হয়নি খোলা বাজারে চাল বিক্রি। ডিলাররা বলছেন, চালের দাম বেশি নির্ধারণ এবং আতপ চাল সরবরাহ করায় আগ্রহী হচ্ছেন না তারা। এছাড়া শুক্র ও শনিবার সরকারি বন্ধ থাকায় দাপ্তরিক কাজ বিলম্ব হওয়ার কথাও বলছেন ডিলাররা।
চলতি বছর সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় ধানের আবাদ নষ্ট হয়ে ফসল উৎপাদন কয়েক লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কয়েক লাখ টন কম হয়। এরপর ঘাটতি মেটাতে সরকার চালের আমদানি উৎসাহিত করতে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কয়েক ধাপে কমিয়ে ২ শতাংশে নিয়ে আসে। তারপরও বাজারে চালের দামে রাশ টানা যায়নি। সম্প্রতি ভারত চাল রপ্তানি বন্ধ করে দিচ্ছে এমন গুজবে বাজার আরো অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। তিন দিনের ব্যবধানে বাজারে চালের দাম বাড়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা। বাণিজ্যমন্ত্রী দাবি করেন অসাধু ব্যবসায়ীরা চালের বাজার কারসাজি করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য বাংলাদেশে রয়েছে। তবে এই খাদ্যগুলো গেল কোথায়? তাই জেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং ডিসিদের বলা হয়েছে প্রত্যেকটা গোডাউন পরিদর্শন করবে। একইভাবে আমি সব জেলার ডিসিদের সঙ্গে ফোনে কথা বলব। যেখানে চালের গুদাম আছে সেখানে অভিযান চালানো হবে। অতিরিক্ত মজুদ রাখলে মিল মালিকদের তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করা হবে। কারণ তাঁরা সিন্ডিকেট করে বাজারে চাল সংকটের গুজব ছড়িয়েছে। তাঁরাই সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ষড়যন্ত্র করছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর, বাংলাদেশ রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আবদুর রশিদের কুষ্টিয়ার চালমিলে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্স। এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভোক্তা অধিকার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মজুদ চাল বাজারে ছাড়তেও নির্দেশ দিয়েছে নওগাঁ জেলা প্রশাসক ড. মো. আমিনুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা মিল মালিকদের গুদামে হানা দেব, যদি দেখি তারা নিয়ম বহির্ভূতভাবে চাল মজুদ করে, সেক্ষেত্রে নীতি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে গাজীপুরেও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাজার মনিটরিং শুরু হয়েছে। জেলার জয়দেবপুর বাজারের বিভিন্ন চালের দোকান ও গুদামে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে।