কালীগঞ্জে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় শ্রমিকের মৃত্যু
লোকমান হোসেন পনিরঃ গাজীপুরের কালীগঞ্জে হা-মী-ম গ্রæপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হামীম ডিজাইন লিঃ (এইচডিএল) কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবাদে শ্রমিকদের কর্মবিরতি।
জানা যায়, জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার মৃত লুৎফর রহমানের পুত্র মকবুল হোসেন (৩৫) এক বছর পূর্বে হামীম ডিজাইন লিঃ এর সুইং সেকশনে সুপারভাইজার পদে যোগদান করে। গতকাল সোমবার দুপুর ২টায় মকবুল হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে ফ্লোরে পড়ে গেলে অন্যান্য শ্রমিকরা তাকে কারখানার ভিতরে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত নার্স শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরণ করে তাদের বের করে দিয়ে মকবুলকে ফেলে রাখে। এসময় শ্রমিকরা চিকিৎসার জন্য তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ব্যবহৃত একটি গাড়ী দেওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু গাড়ীতে ময়লা লাগার আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ গাড়ী দিতে অস্বীকার করলে শ্রমিকরা বিকাল সাড়ে ৩টায় অটোরিক্সা দিয়ে মকুবলকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে কারখানার শ্রমিকরা বিকাল ৪টায় কাজ বন্ধ করে দেয়। তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানার একাধিক শ্রমিক জানায়, কারখানার ভিতরে পাশ করা কোন ডাক্তার ও এম্বুল্যান্স নেই। আমরা অসুস্থ্য হয়ে পড়লেও আমাদের দেখার কেউ নেই। কারখানায় কোন বায়ার এলেই কেবল এম্বুল্যান্স ভাড়ায় এনে তাদেরকে দেখানোর জন্য রেখে দেয়া হয়। মকবুল অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আমরা ইডি স্যারকে তাঁর গাড়ীটি দেওয়ার অনুরোধ করি কিন্তু তিনি আমাদেরকে গাড়ী দেননি। সময় মতো চিকিৎসা পেলে হয়তো তাকে বাচাঁনো যেত।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মীর মোঃ মহিউদ্দিন জানান, বিকাল সাড়ে ৩টায় কয়েকজন শ্রমিক মকুবল হোসেন নামে একজনকে হাসপাতালে নিয়ে এলে পরীক্ষা করে তাকে মৃত পাই।
এডমিন অফিসার মেহেদী হাসানের মুঠোফোনে ফোন দিয়ে মকবুলের ব্যাপারে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন তথ্য দিতে অস্বীকার করেন।
পরে কালীগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এসআই মোবারাক হোসেন জানান, এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই। হাসপাতালে লাশ পড়ে আছে শুনে তিনি বিষয়টি দেখছেন বলে জানান।