চাল ব্যবসায়ীরা ভুল তথ্য দিচ্ছে পাটের বস্তায় খরচ বেশি
চাল আমদানিতে পাটের বস্তা ব্যবহারের সরকারি বাধ্যবাধকতা তিন মাসের জন্য শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়—তবে এ শিথিলতা দেশের অভ্যন্তরের জন্য প্রযোজ্য নয় বলে জানিয়েছেন পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আযম।
বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, চাল ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য সরকারকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে।
পাটের বস্তা ব্যবহার করায় চালের দাম বেড়েছে এ তথ্য সত্য নয় বলে দাবি তার।
এদিকে, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর বাজারে চালের দাম কমতে শুরু করেছে দাবি করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, নভেম্বরে নতুন ফসল উঠে গেলে বাজারে চালের দাম আরো কমবে।
মঙ্গলবারের বৈঠকে চালের দাম কমাতে বিভিন্ন দাবির সঙ্গে পাটের বস্তা ব্যবহারের বিপরীতে প্লাস্টিক ব্যবহারের সুপারিশও তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা।
তাদের যুক্তি পাটের বস্তা ব্যবহারে খরচ বেশি হয়ে থাকে যার প্রভাব বাজারেও পড়েছে। আর তাদের এই দাবি মেনেও নেন তিন মন্ত্রী।
তার একদিন পরেই আপত্তি জানাল পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী।
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পাটমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীদের এ তথ্য অসত্য, মিথ্যা— নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে চাল ব্যবসায়ীরা।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর সরকার গত দুই বছরে দেশে চাল সংকটের সুযোগ নিচ্ছে চাল ব্যবসায়ীরা— তবে সংকটময় মুহূর্ত বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে বাণিজ্য, খাদ্য, কৃষি মন্ত্রী মঙ্গলবার সচিবালয়ে
চাল ব্যবসায়ীরা বৈঠক করেন।