এক মাসেই গ্রেফতার হাজার মানুষ ঝিনাইদহে পুলিশের অভিযান চলছে, চলবে-পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান
ঝিনাইদহ সংবাদদাতাঃ
অন্যান্য জেলা থেকে ঝিনাইদহ জেলায় ৬টি উপজেলায় দিনের পর দিন গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জেলার ৬টি উপজেলাতে গত কয়েকমাসে গ্রেফতার হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। পুলিশের দাবি, কুখ্যাত, পলাতক, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাচালানি, মামলার আসামিসহ কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না। তবে অনেক আসামিদের পরিবারের অভিযোগ, শুধুমাত্র হয়রানি করার কারণে বা ভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী হওয়ার কারণে তাদের নিজেদের বা পরিবারের অন্য সদ্যদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। জেলা পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, গ্রেফতার আসামিদের মধ্যে রয়েছে চোরাচালান, মাদক, অস্ত্র, সিআর ও জিআর মামলার আসামি। হিসাব অনুযায়ী জানুয়ারি মাসে এক হাজার ৮৫, ফেব্রুয়ারিতে ১১৩০, মার্চে ১২৭০, এপ্রিলে ১০১৪, মে মাসে ১৩৯৬, জুন মাসে ১৪২২, জুলাই মাসে ১৪৯৭ এবং আগস্টে ৩১১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে ২৪৩৮ জনের। গড়ে গত আট মাসে ১২ হাজার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকালে উদ্ধার করা হয়েছে মাদক, অস্ত্র, গুলি ও বোমা। ঝিনাইদহে পুলিশের বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক পরিবার অভিযোগ করে বলেন, আমাদেরকে নানাভাবে হয়ারানির শিকার হতে হচ্ছে। শুধুমাত্র ভিন্নদল করার কারণে এটা হচ্ছে। এমনকি অনেক গ্রামে যারা পুরাতন আওয়ামী লীগ করেন কিন্তু নব্য আওয়ামী লীগের চাপে পুরাতনরা গ্রেফতারের শিকার হচ্ছেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হাটগোপালপুর বাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. এসএজি মিল্টন বলেন, জেলা পুলিশের সফল অভিযানের কারণে এসব এলাকায় মাদক বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। তবে ফেরি করে কয়েকজন মাদক বিক্রেতা রয়েছে। গণহারে গ্রেফতারের ব্যাপারে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ঝিনাইদহ আশে পাশের ৫টি জেলার মধ্যের জেলা। এর চারপাশে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মাগুরা ও রাজবাড়ি রয়েছে। এই জেলাতে আছে বিশাল সীমান্ত। ৬টি উপজেলার হরিণাকুন্ডু, শৈলকুপা, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, মহেশপুর ও সদরে সামাজিক ও রাজনৈতিক অনেক বিভেদ আছে। পুলিশকে অনেক তৎপর থাকতে হচ্ছে সবসময়। তিনি আরো বলেন, কোথাও কোনো অপরাধ, মাদক, জঙ্গিবাদ চোখে পড়লে পুলিশকে জানানোর জন্য জেলাবাসীকে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে পুলিশের অভিযান চলছে, চলবে। জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ও সরকারের ভাবমূর্তি অক্ষুণœ রাখতে ঝিনাইদহ পুলিশ বদ্ধপরিকর।