প্রধান বিচারপতির অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতির প্রয়োজন নেই: আইনমন্ত্রী
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই— আসুন আমরা সবাই মিলে তার সুস্থতা কামনা করি বললেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেয়া বক্তবের জবাবে আইনমন্ত্রী তার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
এদিকে, সকালে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে আইনজীবীদের উদ্বেগ নিজদের সৃষ্টি। তাকে নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
এ বিষয়টি নিয়ে নিয়ে রাজনীতি করা কোনো সুস্থ মানসিকতা নয় বলেও মন্তব্য করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
আজ বুধবার -বিএনপি মহাসচিব সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা অসুস্থ নন তাকে জোর করে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, প্রধান বিচারপতি অসুস্থ তিনি বাসায় আছেন। গতকাল ও আজ চিকিৎসকরা তাকে দেখেছেন। আমি তার খোঁজ খবর রাখছি। খুব শিগগিরই উনার সাথে দেখা করবো, আমি মনে করি তিনি সুস্থ হয়ে দায়িত্বে ফিরে আসবেন।
তার এই অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি না করার জন্য বিএনপির প্রতি অনুরোধ জানান আইনমন্ত্রী।
এ সময় বিচারপতির ছুটি নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি অসুস্থ, এটা নিয়ে রাজনীতির কিছু নেই। আসুন আমরা সবাই মিলে বিচারপতি এস কে সিনহার সুস্থতার জন্য দোয়া করি। বিএনপির নেতৃবৃন্দকে বলব, আসেন দোয়া করি, উনি যেন সুস্থ হয়ে যান।’ আইনমন্ত্রী জানান, চিকিৎসকের সঙ্গে তার কথাবার্তা হচ্ছে। যখন দেখতে যাওয়ার মতো অবস্থা হবে তখন তিনি বিচারপতি এস কে সিনহাকে দেখতে যাবেন।
প্রধান বিচার প্রতি এস কে সিনহা কি গৃহবন্দী? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘নিশ্চয়ই না।’
সংবাদ বিফ্রিংয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ছুটির আবেদনে কী আছে, তা-ও তুলে ধরেন।
যা আছে বিচারপতি সিনহার ছুটির আবেদনে...
রাষ্ট্রপতি বরাবর লেখা ওই আবেদনে এস কে সিনহা বলেন, ‘আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে আমি গত বেশ কিছুদিন যাবৎ নানাবিধ শারীরিক সমস্যায় ভুগছি। আমি ইতিপূর্বে ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ সময় চিকিৎসাধীন ছিলাম। বর্তমানে আমি বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছি। আমার শারীরিক সুস্থতার জন্য বিশ্রামের একান্তই প্রয়োজন। ফলে আমি ৩ অক্টোবর হতে ১ নভেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত ৩০ দিন ছুটি ভোগ করতে ইচ্ছুক। এমত অবস্থায় ৩ অক্টোবর হতে ১ নভেম্বর ২০১৭ তারিখ পর্যন্ত ৩০ দিনের ছুটির বিষয়ে মহাত্মনের সানুগ্রহ অনুমোদন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।’