ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভারতীয় ভিসা ফি জমা দেয়া যাবে
এটিএম কার্ড বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভারতীয় হাই কমিশানের ভিসা আবেদন ফি জমা দেয়া যাবে নগদ টাকায় নয় অর্থাৎ ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভিসা ফি জমা দেয়া যাবে।
বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান থেকে ঢাকার শ্যামলীতে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের ‘নগদবিহীন’সেবার উদ্বোধন করেন দেশটির অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া নতুন এ সেবা চালু করেছে।
‘ক্যাশলেস ভিসা সার্ভিস’ নামের এ সেবার উদ্বোধন করেন ভারতের সফররত অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
নতুন এ সেবাটি চালু হওয়ার ফলে ভারতীয় ভিসাপ্রার্থীরা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ভিসা ফি জমা দিয়ে আবেদনপত্রটি যেকোনো ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে (আইভিএসি) জমা দিতে পারবেন।
ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি নগদবিহীন অর্থনীতির দিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার দেশের বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয় তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, দুই দেশের শেকড় একই এবং চ্যালেঞ্জগুলো প্রায় একই রকম।
ভারতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, এর বড় অংশের অর্থনীতি নগদ লেনদেনের উপর বিকশিত। দেশের অর্থনীতি যদি নগদ অর্থের উপর বেশি নির্ভরশীল হয়, নিশ্চিতভাবেই অর্থের অভিশাপ আপনাকে ভোগাবে বলে তিনি।
এ ক্ষেত্রে নগদকেন্দ্রিক অর্থনীতিতে কর ফাঁকি, কালো টাকা, দুর্নীতি এবং জঙ্গি অর্থায়নের সুযোগ তৈরির বিষয়গুলোও সামনে তুলে ধরেন অরুণ জেটলি।
তিনি বলেন, নগদ মুদ্রা নির্ভর অর্থনীতি দুর্নীতির জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে যা শেষ পর্যন্ত গরিব মানুষের বিপক্ষে যায়।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চিকিৎসা, ব্যবসা, বেড়ানোসহ বিভিন্ন কারণে প্রতিদিন গড়ে তিন হাজার বাংলাদেশি নাগরিক ভারতে যান। এ হিসাবে প্রতিবছর ভারত সফর করেন প্রায় ১১ লাখ বাংলাদেশি ।
ভিসা পেতে নানা জটিলতার পরও ভারত ভ্রমণ করা বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে সংখ্যার বিচারে বাংলাদেশিরা আছে দ্বিতীয় অবস্থানে।
একই অনুষ্ঠানে ভারতের এক্সিম ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি শ্রীরাম ও ভারতের এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড রাসকিনহা।
পরে সোনারগাঁও হোটেলেই ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) উদ্যোগে ‘ভারতীয় সরকারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উদ্যোগ: আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ মুদ্রা মূল্য রহিতকরণ ও কাগুজে নোটহীন অর্থনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভা হয়।