২৪ টি নতুন সাব ক্যাম্প রোহিঙ্গাদের জন্য
গত কয়েকদিন থেকে হঠাৎ করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ বেড়ে গেছে। দিনে ও রাতে সমানতালে আসছে রোহিঙ্গারা। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে রোহিঙ্গারা দলে দলে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। এসব রোহিঙ্গাদের মাঝে নিয়মিত ত্রাণ বিতরণ চলছে। রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে বরাদ্দকৃত জমির পরিমাণ বাড়ানোর পাশপাশি ২৪ টি সাব ক্যাম্প করা হয়েছে। ৭ লাখ রোহিঙ্গা থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে নতুন ক্যাম্পে।
হঠাৎ করে এ আগমণের হার বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে নতুন আসা রোহিঙ্গারা বলছেন, রাখাইনে নতুন করে শুরু হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন। আর সেখানে চলছে মাইকিং। রাখাইনে থাকা রোহিঙ্গারা যেন বাংলাদেশে চলে আসে সে ঘোষণা দিয়ে মাইকিং চলছে বলে নতুন অনুপ্রবেশকারীরা জানান। সেখানে নির্যাতন চলার পাশপাশি গণহত্যাও চলছে বলে জানান তারা।
শনিবার দুপুরে ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে ৩ দিনের বাচ্চা কোলে অনুপ্রবেশ করা রোহিঙ্গা নারী হালিমা বিবি জানান, নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ৩ দিনের বাচ্চা নিয়ে চলে এসেছেন তিনি।
একই সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করা আরেক রোহিঙ্গা নারী মরজিনা জানান, তার পাশের বাড়ির এক বাচ্চাকে মায়ের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ছুড়ে ফেলে হত্যা করেছে।
মিয়ানমারের মিলিটারীর অত্যাচার সহ্য করতে না পারা পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা গৃহবধু আয়েশা বলেন, ‘ওরা যাকে পাচ্ছে তাকে কেটে ফেলছে। প্রাণ বাচাঁতে শাহপরীর দ্বীপ দিয়ে এ দেশে এসেছি।’
শুক্রবার রাতে ও শনিবার দিনে বৃষ্টি হওয়ার কারণে আবারো দুভোর্গ বেড়েছে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের। আর উখিয়া টেকনাফের ২৩ টি পয়েন্টে চলছে নিয়মিত ত্রাণ বিতরণ। সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এসব ত্রাণ বিতরণ করছেন।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ কামাল বলেন, রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় তাদের জন্য বরাদ্দ দেয়া ২ হাজার একরের সাথে আরো ১ হাজার একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কুতুপালং এলাকায় ২৪ টি সাব ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এসব ক্যম্পে ৭ লাখ রোহিঙ্গা থাকার ব্যবস্থা রয়েছে বলে ও জানান তিনি।
নতুন আসা রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন কার্যত্রম চলছে এখন ৫ টি পয়েন্টে। এ নিবন্ধন রোহিঙ্গাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে বলে জানান, ইমিগ্রেশন এন্ড পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আজিজুল ইসলাম।