শ্রীপুরে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার
টি.আই সানি,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের শ্রীপুরে বরমী বাজারের নালজোড়া খালের উপর নির্মিত ৮০ মিটার কেন্দুয়া সেতুটির বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে পড়ায় ঝুঁকিতে পড়েছে এলাকার কয়েক হাজার লোকজন। সেতুর উপর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদেরও পোহাতে হচ্ছে দূর্ভোগ। এ দিকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে। বরমী বাজারের ব্যবসায়ী রিপন সাহা জানান, উপজেলার ব্যবসা বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এ বরমী বাজার। এখানে রয়েছে কয়েক হাজার ছোট, মাঝারী, বড় ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বরমী বাজারের প্রবেশ মুখেই রয়েছে কেন্দুয়া এলাকায় রয়েছে ৮০মিটার দৈর্ঘ্য একটি সেতু যা নদী পরিবেষ্টিত বরমী বাজারের সংযোগ রক্ষা করেছে। কিন্তু কয়েক বছর যাবৎ সেতুটি পরিত্যক্ত হয়ে এর বিভিন্ন অংশ খসে পড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। যে কোন সময় এ সেতুটি ধসে পড়ে প্রাণহানীর ঘটনা ঘটতে পারে। বরমী বাজারের ব্যবসায়ী অমর সাহা জানান, এ সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এমন অবস্থায় মালামাল পরিবহনে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরী হয়েছে, পণ্য পরিবহনেও অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে। বরমী বাজারের খলিল এন্টারপ্রাইজের মালিক খলিলুর রহমান জানান, এসেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক সাইনবোর্ড টানানো থাকলেও অনেকে তা মানেনা,রাতের আধারে ঝুঁকিপূর্ন সেতুর মাধ্যমে কিছু গাড়ী চলাচল করে,এতে যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। বরমী নাগরিক হাসপাতালের পরিচালক জহিরুল ইসলাম জানান,এ সেতুটি গত ২ বছর যাবৎ ঝুঁকিপূর্ণ থাকার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা মেরামতের কোন উদ্যোগ গ্রহন না করায় আশেপাশের পাঁচ হাজার লোকজনকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বরমী ডিগ্রি কলেজের সাবেক শিক্ষক লুৎফর রহমান জানান,এই সেতুটির কারনে বরমী বাজারে ঢুকতে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে আসতে হয়। যাতে অতিরিক্ত অর্থ ও সময় অপচয় হচ্ছে। বরমী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক বাদল সরকার জানান,১৯৮০-১৯৮১ সালে গুরুত্ব বিবেচনা করে কেন্দুয়া এলাকায় এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু নানা ভাবে এ সেতুটি এখন নষ্ট হয়ে খসে পড়ছে। দূর্ঘটনা ঘটার আশংকায় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সতর্কীকরন বিজ্ঞপ্তি টানিয়ে দেয়া হয়েছে।জনগুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত এই সেতুটি নির্মানের জন্য প্রকৌশল বিভাগকে করা হয়েছে। শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী সুজায়েত হোসেন জানান,এসেতুর বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। জনগুরুত্বপূর্ন বিবেচনায় নিয়ে শীগ্রই দরপত্র আহবান করে কার্যাদেশ প্রদান করা হবে।