নীলফামারীতে বাশঁ গবেষনা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র
শাহ মো: জিয়াউর রহমান,নীলফামারী : দেশের উত্তরাঞ্চলের ১৬ টি জেলায় ব্যাপক উন্নয়নের লক্ষে নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় হতে যাচ্ছে একমাত্র বাশঁ গবেষনা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র । এ কেন্দ্রর প্রধান উদ্দেশ্যও লক্ষ্য হচ্ছে গবেষনা ও প্রশিক্ষণ কার্যত্রম । জেলার ডোমার উপজেলায় বন বিভাগের ২ একর জমির উপর বাংলাদেশ বন গবেষনা ইনস্টিটিউট এ কেন্দ্রটি বাস্তবায়নের করেছেন ।এ কেন্দ্রটি স্থাপিত হলে উদ্দ্যেক্ত্ , বাশঁ চাষী, উৎপাদক তথা বাশঁ চাষের সাথে সম্প্ক্তৃ ব্যাক্তিরা প্রশিক্ষণ পাবেন যা থেকে তারা ব্যাপক ভাবে উপর্কত ও আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হবে । জেলার ডোমার উপজেলায় সদর হতে ১৮ কিলোমিটার দুরে এক প্রত্যন্ত পল্লীতে বাংলাদেশ -ভারত আনর্Íজাতিক সীমান্তের ২ কিলোমিটারের মধ্যে গোমনাতী চৌরাক্ষী নামক স্থানে এ কেন্দ্র স্থ্াপনের সিন্বান্ত নেয়া হয়েছে । কেন্দ্র স্থ্াপনে শুরুতে এ স্থœান নির্ধারনকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠেছে । প্রশ্ন দেখা দিয়েছে উপজেলায় সদরে যেখানে বন বিভাগের শত শত একর পরিত্যাক্ত জমি রয়েছে সেখানে কেন্দ্র স্থ্াপন না করে এতদুরে কেন ্র স্থ্াপন করা হচ্ছে । কেন্দ্রটি ঐ স্থাপিত হলে এর তেমন কোন প্রভাব পড়বে না বলে এলাকাবাসী মনে করছে। কেননা এখানে রয়েছে আইন শৃংখলা, নিরাপত্তা, আবাসন, বিদ্যুৎ , শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যাবস্থার অপার্যাপ্ততা । এ কেন্দ্রে দেশের বিভিন্ন স্থানের গবেষক, প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষানার্থীদের আসা-যাওয়া করবেন । কিন্তুু ঐ এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে রিক্সা ও অটোভ্যান । সচেতন মহলের আশংকায় বেরিয়ে আসে যেমন, থাকা খাওয়ার কোন ব্যাবস্থা না থাকায় বিপাকে পড়বেন গবেষক, প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষানার্থীরা । এক পর্যায়ে সব ধরনের জনবল সংকটে পড়ে ব্যার্থতার পর্যবসিত হয়ে কার্যকারিতা হারাবে এ কেন্দ্রটি । ফলে এর কাক্ষিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হতে বন্চিত হবে এ এলাকা তথা দেশবাসী । এ ছাড়া বাংলাদেশ -ভারত আনর্Íজাতিক সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় এর নিরাপত্তা নিয়েও নানান ধরনের প্রশ্ন উঠেছে । এ কেন্দ্রে দেশ-বিদেশের গবেষক ও প্রশিক্ষানার্থীদের আসা-যাওয়া সমস্যা মনে করে দ্বিতীয়বার আর এ পথে পা বাড়াবে না এ নিযে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। এলাকাবাসী আরও জানায়, এ কেন্দ্রটি স্থাপিত হতে যা্েছ তার পাশেই আর একটি সরকারী প্রতিষ্টান আশ্রায় প্রকল্প । এ এলাকায় নুন্যতম নাগরিক সুযোগ সুবিধা না থাকায় আশ্রায় প্রকল্প ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে । কেন্দ্রটির প্রকল্প পরিচালক ৪র্থ গ্রেডের কর্মকর্তা , তার অধীনে ৪জন গবেষক, ৩জন সহকারী গবেষকসহ বিভিন্ন স্তরের ২৬ জন কর্মকর্তা থাকবেন । জেলা ও উপজেলা হতে দুরবর্তী এলাকায় পবিবার পরিজন নিয়ে থাকার নিরাপত্তা ও তাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার বিষয় টি নিয়েও নানান ধরনের চিন্তা ভাবনা করবেন। এলাকাবাসী বলেন, এ কেন্দ্রটি বিভিন্ন বাধাঁর মুখে পড়ছে । আমবাড়ী এলাকবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক , আহসান হাবিব প্রামানিক (সিজুর) বলেন, সকল বাধা বিপত্তি উপক্ষে করে কেন্দ্রটি হলে আমাদের সকলের উপকার হবে । আমবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ বলেন, রাস্তা –ঘাট ভালো আছে একটু দুরে হলেও কেন্দ্রটি হলে এলাকাবাসী তথা দেশের উন্নায়ন হবে । ডোমার উপজেলা চেয়ারম্যান এর মুটোফোন বন্দ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ।