ডিম নিয়ে লঙ্কাকান্ড
বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কম দামে ডিম বিক্রির আয়োজনটি প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে ভণ্ডুল হয়ে গেছে। মানুষের চাপ সামলাতে লাঠি চার্জ করেছে পুলিশ। অনেকে পুলিশের পিটুনি খেয়েছেন। কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে। এজন্য অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন ক্রেতারা। ডিম কিনতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক ক্রেতা। বাজারে যে ডিম ৮ টাকা, সে ডিম তিন টাকায় বিক্রির ঘোষণা দেয় আয়োজকরা।
রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ডিম কিনতে আসেন অনেকেই। রাজধানীর জিগাতলা থেকে এসেছেন মাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে এসেছিলাম। কিন্তু ডিম কিনতে পারিনি। বরং ভিড়ের মধ্যে পুলিশের পিটুনি খেয়েছি। আয়োজকরা কি মানুষজনকে পেটাতে এই আয়োজন করেছে? প্রশাসন তাদের কিছু না বলে পুলিশ দিয়ে মার খাওয়ালো কেন? ডিম তো পেলামই না, উল্টো মার খেলাম।
মহাখালী থেকে ডিম কিনতে এসেছিলেন নাজমা আক্তার। তিনি বলেন, সকালেই এসেছিলাম। কিন্তু ডিম পাইনি। ভিড়ের মধ্যে মোবাইলটি হারিয়েছি। এমন ব্যর্থ আয়োজনের জন্য আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এদিকে ডিম বিক্রি বন্ধ থাকলেও অনেকেই এখনও অপেক্ষা করছেন। মাহমুদ আলম বলেন, এত কষ্ট করে এলাম, তাই অপেক্ষা করছি, যদি ডিম পাওয়া যায়।
বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষেবাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসসি) সাধারণ মানুষের কাছে প্রতিটি ডিম তিন টাকায় বিক্রির ঘোষণা দেয়। এই ঘোষণার কারণে শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীর খামাবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে হাজারো মানুষ ভিড় জমায়।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় দিকে বিক্রি শুরু করলে অতিরিক্ত মানুষের চাপে ডিম বিক্রি বন্ধ করে দেন আয়োজকরা। তারা জানান, এক লাখ ডিম বিক্রির জন্য আনা হয়েছিল। মাত্র আধা ঘণ্টায় ৮০ হাজার ডিম বিক্রি হয়ে যায়।
বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এর সভাপতি মসিউর রহমান বলেন, এটাকে ব্যর্থতা বলবো না, আমরা সফল। তিনি বলেন, আমরা যে রকম প্রস্তুতি নিয়েছিলাম তার চেয়েও অনেক বেশি মানুষের সাড়া পেয়েছি। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য বিক্রি করা যায়নি। এজন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।