কিশোরগঞ্জে পানিয়াল পুকুর প্রতিবন্ধি ও অটিষ্টিক বিদ্যালয় একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত
শাহ মো: জিয়াউর রহমান,নীলফামারী
নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ- টেংগনমারী রোড সংলগ্ন মনোরম পরিবেশে মনমুগ্ধকর জায়গায় অবস্থিত ‘পানিয়াল পুকুর প্রতিবন্ধি ও অটিস্টিক বিদ্যালয়টি। যা’ নিতাই ইউনিয়নে একমাত্র প্রতিবন্ধি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে পাঠদান করে আসছে। প্রতিবন্ধি বিদ্যালয়টি অত্র ইউনিয়নের একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়টিতে বুদ্ধি প্রতিবন্ধি, বাক প্রতিবন্ধি, শ্রবণ প্রতিবন্ধি, দৃষ্টি প্রতিবন্ধি, সেলিব্রাল পালসি, বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধি, শারিরীক প্রতিবন্ধিকে শিক্ষা দেওয়া হয়।
প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে হাঁটি হাঁটি পা পা করে প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থী সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় শতাধিক। এলাকার প্রতিবন্ধি ছাড়া ও বাইরের ইউনিয়ন থেকেও প্রতিবন্ধিরা এই বিদ্যালয়ে আসা- যাওয়া করে।
বিদ্যালয়ের মোট জমি ৪০ শতাংশ জমিতে ৪ টি শ্রেণী কক্ষ ,১টি ষ্টোর রুম,২টি ভ্যান গাড়ী আছে। এছাড়াও পানি ও স্যানিটেশনের সু-ব্যবস্থাসহ বিদ্যুৎ, খেলা-ধুলার সরঞ্জাম এবং দৃৃষ্টি প্রতিবন্ধিদের শিক্ষার জন্য রয়েছে বেইলিং পদ্ধতি।
নিতাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক উজ জামান বলেন, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে প্রতিবন্ধি স্কুল করার সিদ্ধান্ত নিলেও কিছু কিছু লোক নাম মাত্র স্কুল খুলে সরকারী সুযোগ গ্রহণে ব্যস্ত।
কিন্তু নিতাই ইউনিয়নে প্রতিবন্ধি স্কুলটি উপজেলার মধ্যে আলাদা ভাবে এবং কৌশল খাটিয়ে প্রতিবন্ধীদেরকে স্কুলগামী করতে নিয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
আমার নিতাই ইউনিয়নে একমাত্র প্রতিবন্ধী স্কুল হচ্ছে পানিয়াল পুকুর প্রতিবন্ধী ও অটিষ্টিক বিদ্যালয়। বুদ্ধি প্রতিবন্ধিদেরকে সঠিক ভাবে শিক্ষা দেয়ার জন্য ধৈর্য্যশীল ও কর্মঠ শিক্ষক নেয়া হয়েছে।
আমাদের প্রত্যাশা প্রতিবন্ধীরা যেন ভাল ভাবে লেখা পড়া ও আদর পেয়ে আমাদের জন্য দোয়া করে।
বিদ্যালয়টি উপজেলার অন্য সব প্রতিবন্ধি বিদ্যালয়ের চেয়ে ভিন্ন ।
পাঠদান ব্যবস্থা সকলের কাছে সমাদৃত এবং অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষক । বিদ্যালয়ের ষ্টাফ ১৭ জন নেয়ার কথা থাকলে উপযুক্ত শিক্ষক, কর্মচারী না পাওয়ায় নেয়া হয়েেেছ ৭ জন । প্রধান শিক্ষক মোছাঃ রুবিনা ইয়াাছমিন বলেন, প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আমাকে নিয়োগ দেয়ার পর থেকে সরকারী বেতন স্কেল অনুযায়ী বেতন- ভাতা দিচ্ছেন।
সহকারী শিক্ষক মোছাঃ আঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, নিয়োগের পর প্রতিমাসে ১ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে ৮ হাজার টাকা করে বেতন ভাতা পাই।
কর্তৃপক্ষ যে ভাবে পানিয়াল পুকুর প্রতিবন্ধী ও অটিষ্টিক বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছে তাতে মনে হয় এরা সরকারী ভাবে অর্থ পায়।
প্রতিষ্ঠানটিতে দুপুরে মান সম্মত টিফিনের ব্যবস্থা রয়েছে। যা’ শিক্ষানুরাগী প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ সাহেদুল ইসলামের নিজস্ব অর্থায়নে চলছে। সভাপতির সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে শিক্ষক কর্মচারীদের মাসের বেতন-ভাতা ও ছাত্র- ছাত্রীদের দুপুরের নাস্তার ব্যবস্থা করা হয়।
তবে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের বারান্দায় একটি দানবাক্স রয়েছে। এতে যে কেউ শরীক হতে পারেন।