কক্সবাজারে র্যাবের সাথে গুলি বিনিময়ে শিশু ধর্ষণ মামলার আসামী ধর্ষক সেলিম নিহত
এম.রফিকুল ইসলাম(চট্টগ্রাম ব্যুরো) : অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র্যাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, ডাকাত, খুনি, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে । এরই ধারাবাহিকতায়, কক্সবাজার বিমানবন্দর গেইটের সামনে নতুন ফিশারিপাড়া (মগচিতাপাড়া) এলাকায় এক প্রতিবন্ধির তিন বছর বয়সী শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে একই এলাকার ইউনুছের পুত্র সেলিম (২২)। ওই দিন সন্ধ্যায় তিন বছর বয়সী শিশুকন্যাটি ঘর থেকে বের হলে তাকে ফুসলিয়ে পাশের একটি খালি বাসায় নিয়ে যায় ধর্ষক সেলিম। সেখানে শিশুকন্যার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে গেলে সেলিম পালিয়ে যায়। পরে লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয় এবং সেখানে তাকে ৬ দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এ ঘটনার পর ধর্ষক ও ধর্ষকের পরিবার কর্তৃক ভিকটিমের পরিবারকে বিষয়টি ধামাচাপার জন্য নানাভাবে ভয়ভীতিসহ প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হয়। উক্ত ঘটনায় গত ২৭ আগস্ট ধর্ষক সেলিমের বিরুদ্ধে কক্সবাজর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩), ধারাঃ ৯(১) মোতাবেক একটি ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয় (মামলা নং-৯৫/৮৭৮, তারিখঃ ২৭/০৮/২০১৭ ইং)। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রাখে।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, উক্ত মামলার আসামী ধর্ষক সেলিম ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন খুরুশকুল এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার স্কোয়াড্রন লীডার শাফায়াত জামিল ফাহিম ও মেজর মোঃ রুহুল আমিন এর নেতৃত্বে র্যাবের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা র্যাবকে লক্ষ করে এলোপাথারিভাবে গুলি বর্ষন শুরু করে। আতœরক্ষা ও সরকারী জানমাল রক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিকভাবে আহত ব্যক্তিকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায় যে, নিহত ব্যক্তি সেলিম (২২) । উক্ত ঘটনায় ২ জন র্যাব সদস্য আহত হলে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়।র্যাব জানায়, নিহত ব্যক্তি, উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও অন্যান্য আলামত পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।