ঝালকাঠি মন্ডপে মন্ডপে শ্যামাপূজা ও দীপাবলি উৎসব পালন
মোঃমোছাদ্দেক বিল্লাহ(বিষেশ প্রতিবেদক)
শিশির ঝরা হেমন্তের ঘনঘোর অমাবস্যা তিথিতে আজ বৃহস্পতিবার দীপাবলির আলোকে উদ্ভাসিত হয়ে উঠছে চারদিক। হিন্দু বিশ্বাস মতে, এই মাহেন্দ্রলগনে আবির্ভাব ঘটছে কালী দেবীর। আজ মহা দীপাবলি উৎসব ও শ্যামাপূজা। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ পালন করেন দীপাবলি উৎসব। ন্যায়ের জয় আর পারলৌকিক আঁধার সরিয়ে ফেলার কামনায় নৈবেদ্য দিবে কালীমাতার পাদপদ্মে।
মঙ্গল শিখায় হিন্দু গৃহগুলো আলোকিত করে রাখা হয়েছে । নিশি উপবাসের পর অন্নকূট মহোত্সব আর সন্ধ্যা আরতি দেওয়া হয়। বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে, আজ সন্ধ্যায় দীপাবলি ও মঙ্গল শিখা প্রজ্বালন এবং দিবাগতেই হয় রাতে শ্যামা পূজা। কেবল হিন্দু নয়, শিখ ও জৈনধর্মাবলম্বীরা গতকাল সন্ধ্যায় সহস্র প্রদীপ জ্বালিয়ে শুভ দীপাবলি উৎসব উদযাপন করেন।
বাংলায় ‘দীপাবলি’, হিন্দিতে ‘দিওয়ালি’-যার সংস্কৃত অর্থ প্রদীপের সারি। যে প্রদীপের আলোয় দূর হয় সকল অশুভ শক্তি, ঘটে শুভ শক্তির আবির্ভাব। তাই এটা প্রদীপ জ্বালানোর সেই উৎসব। হিন্দু ধর্মশাস্ত্র মতে, কালী হচ্ছেন অগ্নির সপ্তম জিহ্বা আর অগ্নি হচ্ছেন স্বয়ং ঈশ্বর; যা কালী বা শ্যামা নামে ভক্তদের কাছে উপস্থিত হয়। মাতৃ আরাধনার আরেক রূপ হচ্ছে শ্যামা পূজা। দীপাবলি হচ্ছে এই পূজার অন্যতম আকর্ষণ। অন্ধকার বিনাশের প্রত্যাশায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই দিন ঘরে ও মন্দিরে প্রদীপ প্রজ্বালন করেন। হিন্দু বিশ্বাসে, এ প্রদীপের আলো যতদূর পর্যন্ত যায়, ততদূর পর্যন্ত কোনো অশুভ শক্তি আসতে পারে না।
হিন্দু পুরাণ মতে, দেবী কালী- দুর্গারই একটি রূপ। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে কালীপূজার মাহাত্ম্য। কালীদেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুণ্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত। এদিকে দিনটি উপলক্ষে ঝালকাঠির কাঠালিয়া, আওরাবুনিয়া মন্দির গুলোতে দেখা যায় জনতার ঢল।