মুন্সীগঞ্জে ঘরের হাট বাজার কিনতে পারেন রেডিমেড আস্ত ঘর রুবেল মাদবর মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জ সদরের হাতিমারা, কুচিয়ামোড়া বাজার, বজ্রযোগিনী, লৌহজংয়ের কলাবাগান কাঠপট্টি, টঙ্গীবাড়ির বেতকা, সিরাজদিখানের মালখানগরসহ বিভিন্ন এলাকায় পাওয়া যাবে রেডিমেড আস্ত ঘর।টিন ও কাঠের দৃষ্টিনন্দন ঘর গুলো দেখতে খুবই সুন্দর। এ ঘরগুলোতে বারান্দাও থাকে অনেক সময়। মুন্সীগঞ্জ নদীভাঙন-কবলিত অঞ্চল বলে এখানে কাঠের ঘরের কদর বেশি। ভাঙনের শিকার হলে সহজেই ঘরগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া যায়। তা ছাড়া বিপদ-আপদে ঘর বিক্রি করে নগদ অর্থও পাওয়া যায়। এজন্য মুন্সীগঞ্জের বেশিরভাগ মানুষই এ ঘর কিনে থাকে।বিক্রেতারা ক্রেতাদের পছন্দের কথা ভেবে নানা কারুকার্য দিয়ে এক সঙ্গেকয়েকটি ঘর তৈরি করে রাখে। যেন ঘরের হাট। কাঁঠ ও টিনের তৈরি ঘরগুলো ঝকঝকে নতুন। কিন্তু এসব ঘরে কেউ থাকে না। এগুলো বিক্রির জন্যই তৈরি করে রাখা হয়।মুন্সীগঞ্জে এই ব্যবসা শুরু হয় গত শতকের নব্বইয়ের দশকে। শুরু করেছিল কাঠ ব্যবসায়ীরা। বেচে যাওয়া কাঠ দিয়ে তারা জোড়াতালি দিয়ে তৈরি করত ঘর। কিন্তু জনপ্রিয়তা পাওয়া এক সময় বাহারি ডিজাইন আর ভালো কাঠ দিয়ে ঘর বানিয়ে বিক্রি শুরু করে ব্যবসায়ীরা।ভালো কাঠ দিয়ে একটি দোতলা ঘর বানাতে যা ব্যয় হয়, ওই টাকায় আনায়াসেই একটি পাকা ভবন করা যায়। কিন্তু এর পরও এই বিক্রমপুর অঞ্চলের অধিকাংশ লোকই টিন-কাঠের ঘরের মায়া ছাড়তে পারেননি। তারা ঘরের ভিট পাকা করে বানিয়ে চলছেন কাঠের ঘর।