ধুনটে শিকারী আতঙ্কে অতিথি পরিযায়ী পাখি
কারিমুল হাসান লিখন, ধুনটঃ
বগুড়ার ধুনটে পাখি শিকারীদের আতঙ্কে রয়েছে নাদি ও হাওর এলাকায় আগত অতিথি পরিযায়ী পাখি। শীত আসছে.... ধুনটের নদি এলাকায় ও বিভিন্ন বিল ও হাওরে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখি। তার সাথে দেখা মিলছে পাখি শিকারীদেরও। পাখি শিকারীরা নানা ধরনের ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করতে ব্যাস্ত। প্রতিদিন সকালে ধুনট উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্দুক হাতে পাখি শিকারীদের দেখা যায়। উপজেলার জালশুকা গ্রামের বাইশার বিল ও ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের মাধবডাঙ্গা গ্রামের ভূটান সরকারের বাড়িতে অতিথি পাখিদের অভয়াশ্রয় হিসেবে দেখা হয়। এ দুটি স্থানের সাথে এবার যুক্ত হয়েছে ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া ইউনিয়নের সরুগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সরু গাং ও ঘোড়ামারা বিলেও প্রতিদিন সকাল ও বিকেলে দেখা মিলছে নানা ধরনের অতিথি পাখি। ধুনটে জনসচেতনতার অভাবে এসকল অতিথি পরিযায়ী পাখি শিকারীদের হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছেনা। সাধারন মানুষ অতিথি পাখির আগমন সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা না থাকার কারনে শিকার আতঙ্কে আকাশেই ঘুরে বেরােেচ্ছ অতিথি পাখিরা। নিরাপত্তার জন্য পাচ্ছেনা কোন আবাস্থল। আমাদের দেশে প্রতি বছর বা কযয়েক বছর পর পর একটি নির্দিষ্ট ঋতুতে অতিথি পরিযায়ী পাখি দেখা যায়। বিকেলের পরিযায়ীদের দেখতে উপজেলার বিভিন্ন নদি এলাকা, বিল ও হাওরের পাশে ভিড় জমায় প্রকৃতি প্রেমীরা।
পরিযায়ী অতিথি পাখি ও প্রকৃতি প্রেমীর মাঝে নিবিড় সু-সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশে শীতকালীন সময়ে হাওড় অঞ্চলে, বিল এলাকায়, সবুজ ঘন পরিবেশে পরিযায়ী অতিথি পাখির আগমন ঘটে। ঠিক তখনই অতিথি পাখি বেষ্টিত হাওড় বাওড় সবুজ ঘন এলাকায় প্রকৃতি পেমী ও পর্যটকেরা ভির করে এক নজর অতিথি পাখি দেখার জন্য। পরিযায়ী অতিথি পাখি ও পর্যটক একে অপরের পরিপুরক ও অবিচ্ছেদ্য। অতিথি পাখি পর্যটকদের চোখে একটি কাব্যিক ও মনের মাধুরী মিশানো ¯্রষ্টা প্রদত্ত ভ্রাম্যিক শিল্প। ভ্রাম্যিক শিল্প একারনে বলছি যে, অতিথি পাখি গুলো সর্বদায় ভ্রাম্যমান ও স্থান পরিবর্তনশীল শিল্প। বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় পর্যটন শিল্প বিকাশের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছে বগুড়া ট্যুরিষ্ট ক্লাব। পাশাপাশি খুব সল্প সংখ্যক প্রকৃতি প্রেমীরা অতিথি পাখির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে ভুমিকা রাখে। উপজেলার প্রকৃতি ও পর্যটন প্রেমীরা মনে করেন, পাখি শিকারী শীতকালীন পরিযায়ী অতিথি পাখিদের জন্য বিরাট হুমকি। পাখি শিকারীদের হাত থেকে যদি পরিযান অতিথি পাখিদের রক্ষা করতে না পারি তাহলে ভ্রমন পিপাষু মানুষদের মন থেকে পর্যটনের আকর্ষন ধিরে ধিরে বিলিন হয়ে যাবে। পাখি শিকারীদের জন্য আইনগত ব্যবস্থা থাকলেও গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জারিকৃত আইনগত ব্যবস্থার প্রতিফল দেখা যায়না বললেই চলে। পাখি শিকারীদের হাত থেকে অতিথি পরিযায়ী পাখিদের রক্ষা করতে গড়ে তুলতে হবে সামাজিক জনসচেতনতা। বিশেষ বিশেষ মহলে সেমিনার করে এ জনসচেতনতাকে জোড়ালো করা যায়। উপজেলার নান্দিয়ারাাড়া মোর্চা, চতল বিল, ঘোড়ামারা, সরুগ্রামের গাং, বিলচাপড়ী বাঙ্গালী নদির মহনা, চিকাশী বিল, গোসাইবাড়ী যমুনা স্পার, মথুরাপুর বিল, চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের জালশুকা গ্রামের বাইশার বিলসহ বিভিন্ন জলাশয়ে অতিথি পাখিদের অবস্থান নির্বিঘœ ও নিরাপদ হোক এমনটাই প্রত্যাশা উপজেলা প্রসাশন ও প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের।