জয়পুরহাট পাঁচবিবির মহীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতাদের নামে অধ্যক্ষের দেয়া চাঁদাবাজী মামলা।
জয়পুরহাট আক্কেলপুর প্রতিনিধি:- শ্রী নিরেন দাস।
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মহীপুর হাজী মহসীন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের চার নেতার নামে দুই লাখ টাকার চাঁদাবাজী মামলা হয়েছে।আসামীরা হলেন কলেজ শাখা ছাত্রদল সভাপতি শুশান্ত ঘোষ(৩২),যুগ্ম সম্পাদক লিটন মন্ডল(২৫),মাহমুদ হোসেন মামুন(২৫) ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন(২৪)।অধ্যক্ষ বরজাহান আলী বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় গত ১৭ অক্টোবর রাতে চাঁদাবাজী মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, গত ১২ অক্টোবর আসামীরা রাত সাড়ে ৯ টায় সম্মান শ্রেণির ভর্তি সংক্রান্ত কাজের কথা বলে অধ্যক্ষের আবাসিক কক্ষে ঢুকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এবং চাঁদাবাজ আসামীরা বলে টাকা না দিলে অন্য সূত্রে অন্যথায় তাকে চরমভাবে হেনস্থা করা হবে।পূর্ববর্তী অধ্যক্ষদের মতো করুণ পরিনতি বরণ করতে হবে। বিষয়টি কারো কাছে বলা যাবেনা বলে আসামীরা তাকে ভয়ভীতি ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদর্শন করে।
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতাদের ভাষ্য, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কলেজের গাছ কর্তন, ভর্তি ও ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়,ভুয়া বিলভাউচার করে অর্থ আত্মসাৎসহ ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর ড.আব্দুল মান্নান সরকারের নের্তৃত্বে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি ১৫ অক্টোবর কলেজে আসেন। তারা অধ্যক্ষের দুর্নীতি বিষয়ে আমাদের কাছে জানতে চাইলে আমরা বিস্তারিত সকল বিষয়ে বলি। লিখিত আকারে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধানকে তাৎক্ষনিক ১৯ জন ছাত্রের স্বাক্ষরিত একটি দরখাস্ত দিই। এসব কারনে অধ্যক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী মামলা করেন।
জেলা ছাত্রদল সভাপতি ও রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা প্রধান বলেন, ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা এমনিতেই মামলা হামলায় বিপর্যস্ত আর এই ক্রান্তি কালে তারা চাঁদাবাজী করতে গেছে বিষয়টি হাস্যকর ছাড়া আর কি বলার আছে। সর্বশেষে রানা প্রধান তিনি কথিত মিথ্যা চাঁদাবাজী মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানান। উক্ত ঘটনাটি ছড়িয়ে পরলে চ্যালেন চোর টিভি প্রতিনিধির পরিচয়ে মোবাইল ফোনে অধ্যক্ষ বরজাহান আলীর সাথে এই চাঁদাবাজী মামলা সহ তাহার উপর আসামীদের অভিযোগ বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন, ওরা তিন দিনের মধ্যে আমাকে কলেজ থেকে তাড়িয়ে দিতে চায়। ওরা আমার পেনশান আটকাতে চায়। ওরা সাংবাদিক লেলিয়ে দিয়ে আমাকে হেনস্থা করেছে ওরা আবারো হেনস্থা করবে। আসলে ওরা আমাকে কি পেয়েছে যে তাদেরকে চাঁদা দিতে হবে ওরা আমাকে বারবার হেনস্থা করবে আর আমি চুপ থাকবো এমনকি ওরা আমাকে শিক্ষকের চোখে দাখে না বলে। তিনি আরো বলেন দেশে কি আইন নেই তাই আমি আইনের সহযোগীতা নিয়েছি ওদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। উক্ত বিষয়ে
পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো:ফরিদ হোসেন বলেন,চাঁদাবাজীর বিষয়টি কতটুকু সত্য সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে।