“দেশের বৃহৎ শিল্প এলাকা হিসেবে খ্যাত গাজীপুর জেলা”
টি.আই সানি,শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
উত্তরে গফরগাঁও উপজেলা ও ভালুকা উপজেলা, পুর্বে কাপাসিয়া উপজেলা ও কালীগঞ্জ উপজেলা, দক্ষিণে গাজীপুর সদর উপজেলা ও পশ্চিমে কালিয়াকৈর উপজেলা ও টাঙ্গাইলের কালিহাতি ... অভিধানিক অর্থে শ্রী-অর্থ সৌর্ন্দয্য,পুর -অর্থ নগরী অর্থাৎ সৌন্দর্য্যের নগরী। এদের মধ্যে গার্মেন্টস, টেক্সটাইল, সিরামিক, কাচ ও কেমিক্যাল শিল্প উল্লেখযোগ্য।
এর ধারাবাহীকতায় শ্রীপুর উপজেলার সকল কলকারখানায় রয়েছে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শ্রমজীবী মানুষ,কিন্তু বেকারত্ব বাড়ছে স্থানীয় যুবকদের, স্থানিয় শিল্পে চাকরি না দেওয়াই বাড়ছে চাঁদাবাজি, ছিনতাই,ধর্ষন ও মাদক সেবন। দেশের বৃহৎ শিল্প এলাকা হিসেবে খ্যাত গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলাতেও রয়েছে টেক্সটাইল, স্পিনিং,গার্মেন্টস ও সোয়েটার সহ অনেক কল-কারখানা।
সরেজমিনে দেখা গেছে কল-কারখানা গুলোতে দূরদূরান্ত জেলা উপজেলা থেকে শ্রমজীবীরা এসে জীবীকা অর্জনে ব্যাস্ত। কিন্তু বেড়েই চলছে স্থানীয় যুবকদের বেকারত্ব, সমাজের সচেতন নাগরিকদের মনে করেন,এই কারনেই এলাকায় বাড়ছে চাঁদাবাজি, ছিনতাই,ধর্ষন ও মাদক সেবন, মাদক বিক্রিসহ অসামাজিন কর্ম কান্ড। এইসব কর্ম কান্ডে জরিত বেশিরভাগই বেকার যুবকরা।
এদের জন্যই এলাকায় আসা ভাড়াটিয়ারা নির্ভয়ে পথ চলতে পারেনা। রাতে যেখানে সেখানে হচ্ছে ছিনতাই,পথ আটকিয়ে পকেটের টাকা পয়সা নেওয়াসহ মারপিটের ঘটনাও ঘটে অনেক সময়। শ্রীপুর উপজেলাতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শ্রমজীবীদের হার অধিক বেশি থাকার জন্য, শাকসবজি, প্রয়োজনীয় পন্য ও ঘর ভাড়া অধিক বেশি।
উপজেলার অনেক যুবকদের দাবি স্থানিয় কল-কারখানাতে চাকরীর জন্য গেলে, যখন কাগজ পত্রে দেখে যে এরা স্থানীয় লোক তখন যে কোন উপায়ে তাদের বের করে দেওয়া হয়। অনেকে নকল কাগজ পত্র তৈরি করে দীর্ঘ দিন যাবৎ চাকরী করে যাচ্ছে কারখানা গুলোতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নোমান গ্রুপে সাধারন কর্মচারী হিসেবে কর্মরত এক যুবকের সাথে কথা বলে যানা যায়।সে স্থানীয় লোক হয়ে অন্য জেলা ও উপজেলার পরিচয় পত্র দিয়ে চাকরী করছে আজ পাঁচ বছর। কিন্তু এর আগে যখন সে স্থানিয় পরিচয় পত্র দিয়ে চাকরী নিতে চেয়েছিল তখন তার চাকরী হয়নি। এমনি আরো কয়েকজনের সাথে কথা বলে যানা যায় তারা বিভিন্ন জেলা উপজেলার পরিচয় পত্র নকল তৈরি করা অন্যায় যেনেও সংসারের হাল ধরতে তারা অন্যায় ভাবে কাগজ তৈরি করে চাকরী করে আসছে। তবু তাদের ভেতর সবসময় একটি ভয় কাজ করে যে আমরা নকল সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরী নিয়েছি যে কোন সময় চলে যেতে পারে চাকরী। তাই এই কর্মজীবী যুবকদের দাবি তারা যেন নির্ভয়ে নিজের জেলা উপজেলার কাগজ পত্র দিয়ে কর্ম করে যেতে পারে সে ব্যাবস্থা করারা জন্য উর্ধতম কর্মকর্তাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানান তারা ।
অনেকে চাকরীর জন্য ঘুড়ে ফিরে চাকরী না পেয়ে, এলাকার বখাটেদের সাথে চলাফেরা করতেছে এবং বিভিন্ন মাদকসহ হামলা চালাচ্ছে দূর থেকে আসা শ্রমিকদের উপর লুটেপুটে নিচ্ছে তাদের সহাই সম্বল। এইসব কল-কারখানাতে আবার স্থানিয় মেয়েদের চাকরি ঠিকই অভাব নেই বলে জানা গেছে।তাই অনেকের মা,মেয়ে,বউ চাকরী করছে সংসার সামলাচ্ছে পুরুষরা।
শ্রীপুর উপজেলাতে রয়েছে ছোট বড় অনেক কলকারখানা।উপজেলার কয়েটি শিল্প কারখানার দায়িত্বরত কর্মচারী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) রিপোর্টারর কে বলেন স্থানীয় ছেলেরা চাকরীতে ঢুকেই স্থানীয় প্রভাব বিস্তার করতে চায়। ফ্যাক্টরীর ভিতরে শ্রমিকদের নেতৃত্ব দিয়ে নানা ঝামেলার সৃষ্টি করে এতে মালিক পক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকটা এ সকল কারনেই স্থানীয় পুরুষ শ্রমিক নিতে চায়না এমনটিই তাদের বক্তব্য।