শ্রীপুরে শিক্ষকের অবহেলায় পরীক্ষা দিতে এসে ফিরে গেলেন ২ শিক্ষার্থী
শ্রীপুর(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ
শিক্ষকের অবহেলায় গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রবেশ পত্র না পাওয়ায় জে এস সি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে এসে ফিরে গেল ২ শিক্ষার্থী। এ সময় তাঁদের কান্নায় কেন্দ্রের আশেপাশের পরিবেশ ভারী হয়ে আসে।
বুধবার সকালে হাজী ছোট কলিম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধনুয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জে এস সি পরীক্ষার পরীক্ষার্থী ধনুয়া গ্রামের কালাম মিয়া ছেলে মামুন (১৪) ও একই এলাকার বুলবুল মিয়ার মেয়ে শান্তি (১৪) পরীক্ষা দিতে না পেরে ফিরে যান।
শিক্ষার্থীদের তথ্যমতে,তাঁরা দুইজন সহ মোট ছয় জন শিক্ষার্থী ধনুয়া এলাকার শহীদ প্রি ক্যাডেট নামের একটি স্কুলে পড়াশোনা করতেন।কিন্তু তাঁদের বিদ্যালয় সরকারীভাবে স্বীকৃত না হওয়ায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহীদউল্লাহ জে এস সি পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন ধনুয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় হতে সম্পন্ন করেন।
যথাসময়ে তাঁদের রেজিষ্ট্রেশন হওয়ার পর তাঁরা প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে প্রধান শিক্ষকের মাধ্যমে ফরম পূরণের জন্য ১৫’শত টাকা করে দেন।পরে প্রধান শিক্ষক তাঁদের জানান সকলের ফরম পূরণ সম্পন্ন হয়েছে।
এ সময় তারাঁ পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন। গত এক সপ্তাহ আগে চারজনের প্রবেশপত্র সরবরাহ করা হলে তাঁরা দুইজন প্রধান শিক্ষকের দ্বারস্থ হলে প্রধান শিক্ষক তাঁদের জানান,পরীক্ষার দিন সকালে পরীক্ষা কেন্দ্র হতে প্রবেশপত্র সরবরাহ করবেন। পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বুধবার সকালে কেন্দ্রে আসলেও তাঁরা প্রবেশপত্র পাননি। এসময় প্রধান শিক্ষক মুঠোফোন বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে শহীদ প্রি ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহীদউল্লাহ বলেন,আমার বিদ্যালয়ের ছয় জন ছাত্রের রেজিষ্ট্রেশন ধনুয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় হতে সম্পন্ন করেছি।যথাসময়ে ফরম পূরণের টাকাও পরিশোধ করেছি।কিন্তু উক্ত বিদ্যালয় হতে চার জনের প্রবেশপত্র সরবরাহ করা হলেও দুইজনের প্রবেশ পত্র সরবরাহ করেননি।
এ সময় প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ জানিয়েছেন তিনি দুইজনের প্রবেশ পত্র সংগ্রহের ব্যবস্থা নিয়েছেন পরীক্ষা শুরুর আগেই দেয়া হবে। কিন্তু বুধবার প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ প্রবেশপত্রের ব্যাপারে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
এ ব্যাপারে ধনুয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ বলেন,যাদের ফরম পূরন হয়েছে, তাঁদের প্রবেশ পত্র সরবরাহ করা হয়েছে। অন্যদের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আর পরীক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়া দুইজন হয়ত ফরম পূরণ করেননি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে কারো কোন অভিযোগ এখনও পাইনি তবে বিভিন্ন মারফতে কেন্দ্র হতে পরীক্ষা দিতে না পারায় ২ শিক্ষার্থীর ফিরে যাওয়ার সংবাদ পেয়েছি।প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে পুরো বিষয় অবগত হয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।