লাভবান হচ্ছেন সু চি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নীরবতায়
মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচি দুই দশক আগে যখন দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছিলেন তখন দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নেতৃবৃন্দের সম্মিলিত মৌনতার জন্য রাগ ঝেড়েছিলেন তিনি।
১৯৯৯ সালে প্রকাশিত দি নেশন পত্রিকায় প্রকাশিত তার এক মন্তব্য কলামে তিনি আসিয়ানের হস্তক্ষেপ না করার নীতির সমালোচনা করে লেখেন, ‘সহযোগিতা না করার জন্য এই নীতি একটি অজুহাত মাত্র। বর্তমান এই সময়ে অন্যদেশের বিষয়সমূহ আপনি অগ্রাহ্য করতে পারবেন না।’
এখন মিয়ানমারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। দেশটির প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। চলমান রোহিঙ্গা সংকটে সেই দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার নেতৃবৃন্দের নীরব থাকার উপরেই নির্ভর করছেন তিনি।
তবে সম্মেলনের আলোচ্যসূচীতে রোহিঙ্গা ইস্যু প্রধান হয়ে উঠবে কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়, তবে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া সম্মেলনের ভেতরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়নের শিকার হয়ে আট লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, কিন্তু বাংলাদেশ আসিয়ানের সদস্য নয়। তবে সম্মেলনে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সামান্য কিছু হতে পারে।
মানবাধিকার গবেষক এবং বিশ্লেষক ডেভিড মাথিয়েসন বলেন ‘সদস্যদেশের কোথাও গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার বিষয় লঙ্ঘন হলে তা নিয়ে আসিয়ান সম্মেলন নীতি প্রণয়ন করে না। এই মুহূর্তে আসিয়ানের নিস্ক্রিয়তা সংস্কৃতির লাভ গুনছে সু চির সরকার।’
মিয়ানমারের রাষ্ট্রপতির মুখপাত্র জ হতে এসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন সম্মেলনে কি বিষয়ে আলোচনা হবে সে বিষয়ে তার কোন ধারণা নেই। তাই তার জবাব সম্পর্কেও তিনি কিছু জানেন না বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
তবে ইন্দোনেশিয়া ও মালেশিয়ার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন যে তারা রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলবেন। ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে আসিয়ানের রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা সহায়তা বিষয়ক পরিচালক চন্দ্র উদিয়া জোধা বলেছেন, ‘আমরা চুপ থাকতে পারি না, তাদেরকে (রোহিঙ্গা) আমাদের সহায়তা করা উচিত।