গোয়ন্দা তথ্যে প্রকাশ"১৫৪ জন সংসদ সদস্যকে অবৈধ ঘোষনার মাধ্যমে সরকার উৎখাতের নীলনক্সা করছে রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবিরা"
সদরুল অাইন বার্তা সম্পাদক (সহ:) চ্যানেল ফোর নিউজ, ঢাকা ।
১৫৪ জন সংসদ সদস্যকে অবৈধ ঘোষনার মাধ্যমে সরকার উৎখাতের নীলনক্সা করছে কথিত বুদ্ধিজীবী রাজনৈতিক নেতারা।বিভিন্ন গোয়েন্দা প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে ২০১৪ সালের নির্বাচনে অা'লীগের যে ১৫৪ জন সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয় অাইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদেরকে অবৈধ ঘোষণা করতে পারলে বর্তমান সরকারকে অবৈধ হয়ে যাবে।অবৈধ সরকারের,অবৈধ সংসদ কতৃক নিয়োগকৃত রাষ্ট্রিপতিও তখন গ্রহনযোগ্যতা ও নৈতিকতা হারাবে।দেশের রাজনীতি তৈরি হবে মহাসংকট।এই সুযোগে সুপ্রীম কোটের রুলিং এর মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে অাবার ফিরে অাসবে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা।তারই সুযোগ নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে চাচ্ছে কথিত রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবিরা।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর খন্দকার আব্দুস সালাম ১৫৪ জন সংসদ সদস্যের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হবার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে একটি রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনে তিনি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯ (১) ধারাকে চ্যালেঞ্জ করেন। রিট আবেদনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯(১) কে সংবিধানের ৬৫(২) এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে দাবি করা হয়। ৬৫(২) অনুচ্ছেদে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ নির্বাচনের কথা বলা আছে। আর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৯(২) তে বলা হয়েছে অন্য কোনো প্রার্থী না থাকলে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবেন। হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি মির্জা হোসেন হায়দার ও বিচারপতি খুরশীদ আলমের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। হাইকোর্ট এই রিট আবেদন নিষ্পত্তিকালে ৫জন এমিকাস কিউরির বক্তব্য শোনেন। এরা হলেন ড. কামাল হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ব্যারিস্টার রফিকুল হক,আজমালুল হোসেন কিউসি এবং ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে এমিকাস কিউরি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হলেও, তিনি ব্যক্তিগত কারণে তাঁর মতামত দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। দীর্ঘ শুনানির পর হাইকোর্ট বিভাগ তার রিট আবেদনটি নাকচ করে দেয়। ২০১৪ সালের ১৯জুন হাইকোর্টের রায়ের পর, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। কিন্ত আপিল আবেদন করা হলেও না সরকার পক্ষ না আপিল কেউই মামলা শুনানির জন্য আপিল বিভাগে তাগাদা দেননি।অার এই সুযোগটিই কাজে লাগাতে চাচ্ছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবিরা।এ জন্য তারা প্রধান বিচারপতি কে হন এবং সরকার ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের বিরুদ্ধে কবে অাপিল করেন সে সময়টির জন্য অপেক্ষা করছে বলে জানা গেছে ।।