লালমনিরহাট বুড়িমারী সীমান্তে হত্যার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ
শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে একের পর এক বাংলাদেশি নিহত হলেও কোনো বিচার পায়নি বাংলাদেশ। দফা দফায় বিজিবি-বিএসএফ’র পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাগ্য বরাবরেই জুটেছে দুঃখ প্রকাশ।
১৫ নভেম্বর বুধবার লালমনিরহাটে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে ফরিদ হোসেন শরীফ নিহত ঘটনায়ও দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএসএফ।
বিজিবি সুত্রে জানা যায়, বুধবার ভোর রাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের আমবাড়ী সীমান্তের ৮৪০ নং মেইন সীমান্ত পিলারের কাছ দিয়ে ভারত থেকে গরু আনার চেষ্টা করেন ফরিদ হোসেন শরীফসহ কয়েকজন বাংলাদেশি রাখাল। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে ভারতের কুচবিহার-৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বিএসবাড়ী ক্যাম্পের টহল দল গুলি করেন। ওই গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় বাংলাদেশি গরু রাখাল ফরিদ হোসেন শরীফ। নিহত ফরিদ হোসেন শরীফের লাশ ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ নিয়ে গেছে। এ সময় বাংলাদেশি অন্যান্য গরু পারাপারকারী রাখালরা পালিয়ে আসেন। বিএসএফ’র গুলিতে নিহতের লাশের পরিচয় রাতেই সনাক্ত করেছে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ টহল দল।
এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় বিজিবি প্রতিবাদ করলে বিএসএফ শুধু দুঃখ প্রকাশ করেন।
পতাকা বৈঠকে রংপুর-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত) লে. কর্নেল মুশফিকুর রহমান ও কোচবিহার-৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল অজয় শূরিয়া রাজবংসীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পতাকা বৈঠক শেষে রংপুর-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত) লে. কর্নেল মুশফিকুর রহমান বলেন, সীমান্ত পথে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করার সময় বিএসএফের টহল দল তাদের বাঁধা দিলে বিএসএফের উপর হামলা চালায় চোরাকারবারীরা। পরে আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুড়ে বিএসএফ। এতে মারা যান ফরিদ হোসেন শরীফ।
তবে বিএসএফ এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটনোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলেও জানান তিনি। ৬১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র রংপুর ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মেহেদী হাসান এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিজিবি’র পক্ষ থেকে বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদপত্রসহ লাশ ফেরত চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।