রাবি ছাত্রী অপহরণে সাবেক স্বামীসহ ২ জন রিমান্ডে
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার সাবেক স্বামী সোহেল রানাসহ দুইজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এছাড়াও অপহৃত ছাত্রীর জবানবন্দি রেকর্ড করে তাকে বাবা-মার হেফাজতে দেয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয় ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআইন ইসমাইল হোসেন জানান, রোববার বিকেলে গ্রেপ্তার তিন আসামীকে রাজশাহী মহানগর মুখ্য হাকিম আদালত-১ এ হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে শুনানী শেষে আদালতের বিচারক মাহবুবুর রহমান আসামী সোহেল রানা ও মাইক্রোবাসের ড্রাইভার জাহিদুল ইসলামের একদিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাবাসাদের আদেশ দেন। পরে তাদের আদালত থেকে মতিহার থানায় নেয়া হয়।
এসআই ইসমাইল আরও বলেন, আদালতে অপহৃত ছাত্রীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। রোববার বিকেলে মহানগর মুখ্য হাকিম আদালত-৩ এ হাজির করা হলে ২২ ধারায় অপহৃত ছাত্রীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আদালতের বিচারক জাহিদুল ইসলাম। একই সঙ্গে বিচারক ওই ছাত্রীকে তার বাবা-মার হেফাজতে দেয়ার আদেশ দেন। আদালতে হাজির করার আগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়।
আসামী পক্ষের আইনজীবী আমজাদ হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার তিন আসামীর জামিন আবেদন করা হয়েছিল। শুনানী শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে বিচারক দুইজনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে। আর অপর আসামী সোহেলের বাবা এ্যাডভোটেক জয়নাল আবেদিনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত শুক্রবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে রাবি ক্যাম্পাসের তাপসী রাবেয়া হলের সামনে থেকে ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায় তার সাবেক সোহেল রানা। এ ঘটনায় ওই দিনই অপহৃত ছাত্রীর বাবা পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় মামলা করে। এ মামলায় ওইদিন সন্ধ্যায় পত্নীতলা সরদারপাড়া থেকে সোহেলের বাবা জয়নাল আবেদিনকে গ্রেপ্তার করে।
এর পর শনিবার দুপুরে ঢাকার রায়ের বাজার এলাকার একটি কাজী অফিস থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় আটক করা হয় অপহরণকারি সোহেলকে। এর আগে পুলিশ অপহরণে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস উদ্ধার ও এর চালককে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্যেই অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার ও সোহেলকে আটক করা হয়েছে।