ভাগ্নিকে হত্যার দায়ে মামার মৃত্যুদণ্ড
গাজীপুরের শ্রীপুরে ভাগ্নিকে গলা কেটে হত্যার দায়ে মামা মো. রিপন মিয়াকে (৩৫) মৃত্যুদণ্ড এবং অপর দুজন রবিউল ইসলাম (২৩), মো. মোজাফফরকে (২১) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে রায়ে মুত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ১০ হাজার টাকা এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছে।
বুধবার সকালে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক একেএম এনামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- গাজীপুরের শ্রীপুর থানার চকপাড়া গ্রামের হাসমত আলী ওরফে হাসেমের ছেলে মো. রিপন মিয়াকে (৩৫)। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বগুড়া সদর উপজেলার ভাটকান্দি গ্রামের মো. আব্দুর রহিমের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৩) ও শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানার মো. মোস্তফার ছেলে মো. মোজাফফর (২১)।
গাজীপুর আদালতের পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম জানান, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে রিপন মিয়া তার দুই সহযোগীকে নিয়ে আপন ভাগ্নি নাজমীনকে হত্যা করে।
২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর আছমার মা মিনুজা বেগম ও মেয়ে নাজমীনকে বাড়ি রেখে বাবা হাসমত আলী টাঙ্গাইল বেড়াতে যান। এ দিন রাত আড়াইটার দিকে নানির সঙ্গে ঘরে ঘুমিয়ে থাকা মেয়ে নাজমীনকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে উঠানে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় আছমা বেগম বাদী হয়ে ৩০ অক্টোবর প্রতিবেশী আব্দুল করিম, আব্দুল কাদির ও আব্দুল মোতালেবকে আসামি করে শ্রীপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই খন্দকার আমিনুর রহমান মামলার তদন্ত করে নিহতের আপন মামা মো. রিপন মিয়া ও তার দুই সহযোগী রবিউল এবং মোজাফফরকে গ্রেফতার করে।
রিপন মিয়াসহ দুই সহযোগী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে রিপন মিয়া স্বীকার করেন, পূর্বশত্রুতা ও জমিসংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষ করিম গংদের ফাঁসাতেই তিনি তার ভাগ্নিকে হত্যা করেন। মামলায় আট সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
রাস্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট হারিছ উদ্দিন আহম্মদ, আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও ওয়াহিদুজ্জামান আকন।