লালমনিরহাটে ফেসবুকে ছবি দেখে স্কুল ছাত্রীর আতœহত্যা গ্রেফতার ১
লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটে ফেসবুকে ছবি আপলোড করাকে কেন্দ্র করে জেমি খাতুন নামে ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রী আতœহত্যা করেছে। মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়িতে গলায় ওড়না পেছিয়ে আতœহত্যা করেন জেমি। ওই আতœহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে আরাফাত হোসেন আরিফ নামে একজনকে বুধবার সকালে গ্রেফতার করেন পুলিশ। জেমি জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দঃ গড্ডিমারী গ্রামের জহরুল আলীর মেয়ে ও স্থানীয় শাহ গরিবুল্লাহ বালিকা বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর মানবিক বিভাগের ছাত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জেমি খাতুনকে প্রথমত প্রেম প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করত ওই এলাকার মজিবর রহমানের পুত্র ও এসএস হাইস্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র আরাফাত হোসেন আরিফ। পরে তাদের মাঝে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। বিষয়টি বুঝতে পেয়ে জেমি খাতুনকে অন্যত্রে বিয়ে দিতে বর খোজঁতে থাকে জেমির পরিবার। ওই ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে জেমি খাতুনের একটি ছবি আপলোড দেয় আরাফাত হোসেন আরিফ। ফেসবুকে ছবি দেখে জেমির বড় ভাই রনি বোন জেমিকে গালমন্দ করেন। ওই সময় পাশে দাদীর ঘরে গিয়ে ফ্যানের সাথে ওড়না পেছিয়ে আতœহত্যার চেষ্টা করেন জেমি। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে হাতীবান্ধা হাসপাতাল পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আতœহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে আরাফাত হোসেনকে বুধবার সকালে গ্রেফতার করেন পুলিশ।
জেমি খাতুনের মা নুরবানু বেগম জানান, আরাফাত হোসেন আরিফ আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। জেমিকে অন্যত্রে বিয়ে দেয়ার সংবাদ শুনে সে বরের পরিবারকেও বিয়ে করতে নিষেধ করেন। জেমির ছবি ফেসবুকে আপলোড করেছে। যে কারণে আমার মেয়ে আতœহত্যা করেছে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি শামীম হাসান সরদার জানান, লাশ উদ্ধার করে বুধবার সকালে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরাফাত হোসেন আরিফসহ দুই জনকে আসামী করে একটি মামলা হয়েছে। আরাফাত হোসেন আরিফকে গ্রেফতার করে বুধবার সকালে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।