বিদ্যুতের যে দাম বাড়ানো হয়েছে সেটা মামুলি ব্যাপার: ড. তৌফিক
বিদ্যুতের দাম বাড়ার প্রভাব সহনীয় থাকবে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।
শুক্রবার বিদ্যুৎ ভবনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নিজস্ব বিবেচনায় এ দাম বাড়িয়েছে এর সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই।
বিদ্যুতের দাম বাড়লেও এর খুব বেশি নেতিবাচক প্রভাব মানুষের উপর পড়বে না বলে দাবি ড. তৌফিক ই এলাহীর।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যুতের যে দাম বাড়ানো হয়েছে আমি মনে করি এটি খুবই সামান্য এবং মামুলি ব্যাপার; জনজীবনে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করি না। দাম বৃদ্ধির কাজটি বিইআরসি নিজস্ব বিবেচনা থেকে বাড়িয়েছে—এক্ষেত্রে আমাদের কোনো প্রভাব নেই।
আগামী ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হতে যাওয়া বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিকে খুবই সামান্য এবং মামুলি ব্যাপার বলেও মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই বৃদ্ধির কারণে জনজীবনে কোনো প্রভাব পড়বে না।
একই অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দাম খুব বেশি বাড়ানো হয়নি। ২০০ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীদের এখন থেকে মাসে অতিরিক্ত ২০ থেকে ২৫ টাকা বিল দিতে হবে। গ্রাহকপর্যায়ে যে প্রভাব পড়বে তা সহনীয় বলেই মনে করি।
বিইআরসি প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৫ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত এ বছরের ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের দুই মেয়াদে এবার নিয়ে আট দফা বিদ্যুৎ বিল বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের কাছে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল বিতরণকারী সংস্থাগুলো। বিপরীতে প্রতি ইউনিটে দাম ১ টাকা ৫৬ পয়সা করে কমানোর প্রস্তাব দিয়েছিল ভোক্তাদের সংগঠন ক্যাব। কিন্তু বিইআরসির রায়ে শেষ পর্যন্ত বহাল রয়েছে বিতরণকারী সংস্থাগুলোর প্রস্তাবই।
তবে সরকারের দাবি, যৌক্তিকভাবেই বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে বিইআরসি।