ইতিহাস বিকৃতকারীরা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে: প্রধানমন্ত্রী
একাত্তরের ঘাতক, যুদ্ধাপরাধী ও ইতিহাস বিকৃতকারীরা যেন কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে না পারে— বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পাওয়া উপলক্ষে শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
জাতির জনকের ভাষণের যে স্বীকৃতি ইউনেস্কো দিয়েছে— এ জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ও কর্মকর্তাদের অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এটা শুধু ভাষণ নয়, বাংলার নিপীড়িত, শোষণ, বঞ্চনার শিকার মানুষের স্বাধীনতার দিক নির্দেশনা ছিল এটি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে বাংলাদেশের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধকেই মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারেনা। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।
ভবিষ্যতে যাতে কেউ মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করতে না পারে, সেই রাজাকার, আল বদর খুনিরা যাতে আর রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ এগিয়ে যাবে— উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন থেকে শাসনতন্ত্র রক্ষাসহ জাতির জীবনের প্রত্যেকটি অর্জনে আওয়ামী লীগ জড়িত। দেশের স্বাধীনতা অর্জনে যারা রক্ত দিয়ে গেছেন, তাদের মহান অর্জন স্বীকৃতি পেয়েছে ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে।
এ সময় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে সমাবেশ স্থলে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এর আগে বাদ্যযন্ত্র, দেশাত্মবোধক বিভিন্ন গানে মুখরিত থাকে সমাবেশস্থল।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ অক্টোবর ইউনেস্কো ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।