শৃংখলাবদ্ধ থেকে সংগঠনের নেতৃত্ব দিতে চাই... সাবেক ছাত্র নেতা মাসুদ পারভেজ
এম এ লিংকন,মেহেরপুর প্রতিনিধি : গত ১৫ বছর আগে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন। তাছাড়া তিনি ও তার পূর্ব পুরুষ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দীর্ঘ দিন ধরে আওয়ামী লীগের সুচনা লগ্ন থেকে গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোঃ মাসুদ পারভেজ ২০০১ সালে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন সফল ভাবে। এর পর ২০০৪ সালে থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতির দ্বায়িত্ব অত্যান্ত সফল ভাবে পালন করেন। বর্তমানে তিনি সংরক্ষিত মহিলা আসনে সংসদ সদস্য সেলিনা আকতার বানুর একান্ত সহকারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। শুধু তাই নয় তিনি রাজনীতির পাশাপাশি গাংনী উপজেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সভাপতি, গাংনী উপজেলা নার্সিং ইন্সটিটিউটের সহ-সভাপতি তার পিতা সর্বজনীন শ্রদ্ধেয় আব্দুল ওয়াদুদ তাঁরই নামে প্রতিষ্ঠিত আব্দুল ওয়াদুদ কিন্ডার গার্টেন এর চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করে আসছেন বেশ সফলতার সাথে। এর বাইরেও তিনি মাহি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের মালিক। মোঃ মাসুদ পারভেজ এমন একটি পরিবারের সন্তান যে পরিবারটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা কাল থেকে অত্যান্ত গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা রেখে চলেছে। তিনি তার পরিবারের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেন, আমার ছোট দাদা মরহুম আঃ হান্নান ১৯৪৫ সালে অবিভক্ত বাংলাদেশ মুসলিম লীগ থেকে এম এল এ নির্বাচিত হন পরে ১৯৫৪ সালে যুক্ত ফ্রন্ট থেকে তৎকালিন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। মাসুদ পারভেজের মেজো দাদা মরহুম আঃ ওয়াহেদ তৎকালিন মটমুড়া ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মাসুদ পারভেজ এর বড় চাচা মরহুম নুরুল হক ১৯৭০ সালে গাংনীর এম এল এ ছিলেন, ১৯৭৩ ও ১৯৮৬ সালে নৌকা প্রতীকে গাংনী আসনের এমপি নির্বাচিত হন। তিনি জানান তার বড় চাচা সকলের শ্রদ্ধাভাজন মরহুম নুরুল হক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গাংনী উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাকালিন সভাপতি ছিলেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অর্থাৎ ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত সফলতার সাথে এ দ্বায়িত্ব পালন করেন। মাসুদ পারভেজের মেজো চাচা মরহুম আনোয়ারুল ইসলাম মটমুড়া ইউনিয়নের ৩ বার জনগনের ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং সফলতার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে মরহুম নুরুল হক সাহেবের সুযোগ্য কন্যা সেলিনা আক্তার বানু সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন। এক্ষেত্রে তিনি বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের সফল প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যান্ত বিচক্ষনতার সাথে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আমাদের পরিবারের ভুমিকা ও বোনের যোগ্যতা দেখেই তাকে সংসদসদস্যর দ্বায়িত্ব দিয়েছেন। মাসুদ পারভেজ আরো বলেন, আমাদের এলাকায় মানুষ আমাদেরকে খুব ভালো ভাবে জানে বলেই আমার চাচাতো ভাই সোহেল আহম্মেদও জনগনের ভালোবাসা নিয়ে এবার মটমুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
এই রকম একটি আওয়ামী বুনিয়াদি ঘরে সাবেক ছাত্র নেতা মাসুদ পারভেজ এর জন্ম। তিনি মনে করেন আমার বংশের রক্তে আওয়ামী লীগ আমরা যেখানে বাস করি তার প্রতিটি মাটির কোণা বলবে এখানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির চর্চা হয়। তিনি তার পরিবারের কাছ থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির চর্চা করে জনকল্যানে গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা রেখে আসছেন। সাংগঠনিক ভাবে তিনি তার ইউনিয়ন ছেড়ে জেলা পর্যায়ে গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা রেখে আসছেন। আগামীতে তিনি উপজেলা যুবলীগের দ্বায়িত্বে আসতে চান। এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন দলের হাই কমান্ড স্বিদ্ধান্তে আমার শ্রদ্ধা আছে, এবং আমার যোগ্যতা যতটুকু ঠিক ততটুকু দ্বায়িত্ব দেবেন বলে আমি মনে করি। কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতাদের সম্পর্কে তিনি বলেন তাঁরা বাংলাদেশ যুব লীগের সংগঠনকে সু-শৃংখল ভাবে সংগঠিত করে রেখেছে আগামীতে এই যুবলীগের সংগঠনকে আরো শক্তিশালি করতে উনারা নিশ্চয় সঠিক স্বিদ্ধান্ত নেবেন বলে আমি আশা করি। এবং আগাম তে যুবলীগের কমিটি গঠনে কেন্দ্র যে স্বিদ্ধান্ত নেবে তা অবশ্যই আমরা স্বাগত জানিয়ে গ্রহন করব।
এক প্রশ্নের জবাবে মাসুদ পারভেজ বলেন, যুবলীগে আমাকে দ্বায়িত্ব দিলে দলকে সুসংগঠিত করে সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাব। তিনি আরো বলেন অন্য যাকেই দিবে আমি তার সহযোগি হিসেবে দলের জন্য কাজ করে যাব।