পরিক্ষা দেওয়া হলোনা প্রথম শ্রেনী ছাত্রী মৌসুমীর!
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এক মাদ্রাসা ছাত্রী শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার বেলা ১২টায় শ্রীপুর থানা পুলিশ নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নিহত মৌসুমী আক্তার (৮) উপজেলার গাজীপুর উত্তরপাড়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছ আলীর মেয়ে। সে স্থানীয় গাজীপুর সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ইবতেদায়ী শাখার প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। রবিবার তার পরিক্ষায় অংশগ্রহন কারার কথা ছিলো।
নিহতের মা রমিজা খাতুন জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার আব্দুল আউয়ালের ছেলে মনিরুজ্জামান জয়ের সাথে মৌসুমীর খালাতো বোনের মেয়ে লাকী আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মনিরুজ্জামান জয় তাঁর নানা গাজীপুর গ্রামের কদম আলী বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করত। এ দিকে পরিবারের লোকজন তাঁদের প্রেমের সম্পর্ক জেনে যাওয়ায় কয়েকদিন আগে লাকী আক্তারকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেন পরিবারের লোকজন। মনিরুজ্জামান কয়েকদিন যাবৎ লাকী আক্তারের সন্ধানের জন্য মৌসুমীকে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিল। নিহতের মা রমিজা খাতুনের অভিযোগ হচ্ছে মনিরুজ্জামানই ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করেছে। এঘটনার পর থেকে মনিরুজ্জামান পলাতক রয়েছে।
নিহতের ভাই ইদ্রিস আলী বলেন, বাড়ির পাশেই গাজীপুর কসাইপাড়া এক বাউল গানের অনুষ্ঠান ছিল এদিকে তারঁ মা শনিবার বিকেলে গাজীপুর পূর্বপাড়া স্বজনদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় বাড়িতে ছিলেন না। মৌসুমীকে তাঁর ঘরে ঘুমাতে রেখে সে বাউল গান শুনতে যায়। পরে ভোর রাতে বাড়িতে এসে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। এসময় ঘরে ঢুকে মৌসুমীর রক্তাক্ত নিথর দেহ দেখে কান্নাকাটি শুরু করেন।
গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস সালাম জানান, সংবাদ পেয়ে নিহতের বাড়িতে গিয়ে এ বিষয়ে শ্রীপুর থানায় খবর দেওয়া হয় পরে দুপুরের দিকে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যায়।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) এখলাসুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।