লালমনিরহাটে ১০ শিক্ষার্থী বহিস্কার ও ভূয়া ১০ শিক্ষার্থীর কারাদন্ড
লালমনিরহাট প্রতিনিধি :
লালমনিরহাটে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অনার্স (বিশেষ) দ্বিতীয় বর্ষ অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ের ১০ জন পরীক্ষার্থীকে বহিস্কার ও ১০ জন ভূয়া পরীক্ষার্থীকে ভ্রাম্যমান আদালত ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে।
লালমনিরহাট মজিদা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক নূর হোসেন বলেন, মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) লালমনিরহাট মজিদা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রে ১০ জন পরীক্ষার্থীকে বদলী পরীক্ষার্থী দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অপরাধে এক্সফেল্ড (বহিষ্কার) ও ১জন পরীক্ষার্থীকে নকল করার অপরাধে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মমতাজ বেগম তাদের বহিষ্কার করেন। এসব পরীক্ষার্থী হলো-উত্তর বাংলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অর্থনীতি বিষয়ের উত্তম কুমার, একই বিষয়ের তাহমিদার রহমান, রাজু আহমেদ, সমাজ বিজ্ঞানের মামুনুর রশীদ, একই বিষয়ের ঈশিতা নাসরিন, রতীন্দ্র নাথ রায়, একই কলেজের মনোবিজ্ঞানের ইব্রাহিম আলী, লালমনিরহাট সরকারি কলেজের অর্থনীতি দ্বিতীয় বর্ষের জেসমিন নাহার ও কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক কলেজের বাংলা বিষয়ের শাহীন আলম এবং সমাজ বিজ্ঞানের মশিউর রহমান।’
তিনি আরো বলেন, ‘এসব আসল পরীক্ষার্থীর বদলী পরীক্ষা দিতে এসে কারমাইকেল কলেজের একাউন্টিং (মাষ্টার্স) শিক্ষার্থী লিটন সরকার, একই কলেজের বাংলা (মাষ্টার্স) শিক্ষার্থী মজিবুল ইসলাম, ইংরেজি চতুর্থ বর্ষের উম্মে হাবিবা বেগম, একই বর্ষের লিমা খাতুন, উত্তর বাংলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মনোবিজ্ঞান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সৌরভ আহমেদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুল আজিজ, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিতের (মাষ্টার্স) শিক্ষার্থী সুরজিৎ চন্দ্র বর্মণ, সমাজ বিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের শাহিন আলম, বগুড়া আজিজুল হক কলেজের প্রাণিবিদ্যার (মাষ্টার্স) শিক্ষার্থী নয়ন হোসেন ও হাতীবান্ধা আলীমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজের একাউন্টিং চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রমজান আলীকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করা হলে বিজ্ঞ আলাদত প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে ১ বছর করে বিনাশ্রম সাজা প্রদান করেন।’
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম জানান, সাজাপ্রাপ্ত ১০ ভূয়া পরীক্ষার্থীকে রাতেই লালমনিরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ভ্রামমান আদালতের বিচারক মমতাজ বেগম বলেন, অন্য পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অপরাধ স্বীকার করায় প্রত্যেককে ১ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া নকল করার দায়ে একজন এবং নিজে পরীক্ষায় অংশ না নিয়ে অন্যকে দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ১০ জনকে এক্সফেল্ড (বহিষ্কার) করা হয়েছে।’
লালমনিরহাট মজিদা খাতুন সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।