রাজশাহীর উন্নয়নে কাজ করে যেতে চাই: বাদশা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, শিল্পায়নের মাধ্যমেই অবহেলিত এ রাজশাহীকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। রাজশাহীতে শ্রমশক্তির অভাব নেই। শিল্পায়নের মাধ্যমে এই বিপুল পরিমান শ্রমশক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে উত্তরবঙ্গের সমস্ত এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এই অবহেলিত রাজশাহীর আরও উন্নয়ন হবে। আর সেই চেষ্টাই আমরা করছি। রাজশাহীর সকল উন্নয়নের জন্য কাজ করে যেতে চাই।
আজ শনিবার বেলা ১১ টায় নগরীর মাষ্টারশেফ রেষ্টুরেন্টে রাজশাহীর উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনা শিল্পনগরীর হয়ে উঠার সহজ হয়েছে কারণ সেখানে বন্দর রয়েছে। পর্যাপ্ত গ্যাসের সরবরাহ থাকায় সেখানে গার্মেন্টস শিল্প তৈরি এবং রফতানী হচ্ছে। রাজশাহীও হতে পারে গার্মেন্টসের কেন্দ্র। কারণ রাজশাহীতে এখন গ্যাস সরবরাহ রয়েছে। ঢাকায় গার্মেন্টস শিল্পকে উৎসাহিত করতে শিল্পপতিদের ৫% হারে ভুর্তকি দেয়া হয়। আমরা আগামি বাজেটের আগে সরকারের কাছে আবেদন করবো যাতে রাজশাহীতে গার্মেন্টস শিল্পের বিকাশ করা হয়। আর রাজশাহীর শিল্পপতিদের ১০% ভুর্তকি দেয়া হয়।
আরেকটি প্রস্তাবনা আমাদের থাকবে আর সেটি হলো, আব্দুলপুর থেকে রাজশাহী পর্যন্ত মিক্সগেজ রেল নির্মানের জন্য। এই রেলের সুবিধা পাওয়া গেলে রাজশাহীর হরিয়ানে রেলওয়ে কন্টেইনার পোর্ট তৈরী করা সম্ভব হবে। যাতে করে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের ব্যাপক সুবিধা হবে। পাশাপাশি ইশ্বর্দীকে গার্মেন্টস ফ্যাক্টারীর সংখ্যা বাড়বে। রাজশাহী অঞ্চলে তৈরীকৃত গার্মেন্টস পণ্য দেশে এবং বিদেশে রফতানী হবে।
সাংসদ বাদশা বলেন , আমরা চেষ্টায় আছি রাজশাহী থেকে কলকাতা পর্যন্ত রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরী করার। ভারতের সাথে ইতোমধ্যে আমাদের রেলমন্ত্রীর যোগাযোগ হয়েছে। ভারত ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। আশা করি অচিরেই এই রেল যোগোযোগের মাধ্যমে রাজশাহীর অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। এছাড়াও আমরা রাজশাহী বিমান বন্দরে কার্গো ফ্লাইট চালু করার পরিকল্পনা করেছি। যাতে করে রাজশাহীর যেকোন পণ্য দেশের অভ্যান্তরে অথবা দেশের বাইরে পরিবহন করা যায়।
তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আমরা রাজশাহীতে রেশম কারখানা পুনরায় চালু করতে পেরেছি। আগামি ৪৫ দিনের মধ্যে কারখানার সকল কার্যক্রম শুরু হওয়ার আশা করছি। এই সিল্ক কারখানা চালু হলে সিল্কের কারখানার সামনে একটি শোরুম দেয়া হবে। যাতে করে কারখানায় তৈরীকৃত প্রকৃত সিল্কের পোশাক পাওয়া যাবে। এই রেশম শিল্প যেহেতু রাজশাহীতে বিখ্যাত সে কারণে রাজশাহী নামের সাথে ‘সিল্ক’ শব্দটি ব্রান্ডিং এর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অত:পর তিনি বলেন, রাজশাহীর জনমানুষের পাশে থেকে সকলের সহযোগীতায় আমরা এই জেলা শহর তথা বিভাগকে উন্নত করতে অন্যান্য সাংসদদের নিয়ে আলোচনা করে উন্নয়নের রোড ম্যাপ তৈরী করেছি। আগামি বাজেটে এই সকল প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হবে যাতে করে রাজশাহীবাসির উন্নয়ন সাধিত হবে।