রাজশাহী নগরীতে রহস্য ঘেরা গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার আত্মহত্যা না হত্যা ?
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীতে সুচিত্রা (৩০) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সুচিত্রার পরিবারের দাবি সুচিত্রা বৃহস্পতিবার রাত্রী ১০টার সময় নগরীর সুলতানাবাদ এলাকার তার নিজ শশুরবাড়িতে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তার মুখের ডানপার্শের অংশে কাটা জখমের চিহ্ন রয়েছে। ও গলার উপরিভাগে দুটি আচরের দাগ ও সিলিং ফ্যানে সিঁদুর দেখা গেছে।এবং সিলিং ফ্যান থেকে বেডের ডিফারেন্স খুব একটা পার্থক্য ছিল না! এখানে সুচিত্রার ভাই সুমন সরকারের স্ত্রী টুসি সরকার ছাড়া বাসার কোন সদস্যদের চোখে স্বজন হারিয়ে যাওয়ার বেদনা দেখতে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়াও রাত্রি ১০টার সময় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্ম হত্যা করার ঘটনা ঘটলেও পুলিশে খবর দেয়া হয় রাত্রি সাড়ে ১১টার সময় । এমনকি সুচিত্রার আত্মহত্যা ও পরে তার ঝুঁলন্ত লাশ তার শশুর বাড়ির লোকজনেরা পুলিশ ও স্থানীয়দের না জানিয়ে নামানোর কারণে তার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহেরে সৃষ্টি হয়েছে। নিহত গৃহবধু সুচিত্রা নগরীর সুলতানাবাদ এলাকার সঞ্চয় দাসের স্ত্রী। সঞ্চয় নগরীর সাহেব বাজারে অবস্থিত তার বাবার সুরভী টি হাউস নামে একটি চায়ের দোকান দেখা শোনা করেন। সঞ্চয় ও সুচিত্রার সংসার ১১ বছরের একটি কন্য সন্তান আছে।
সুচিত্রার স্বামী সঞ্চয় দাস বলেন, বৃহস্পতিবার রাত্রী আনুমানিক ১০টার সময় বাসার দ্বিতীয় তালায় স্ত্রী সুচিত্রা দাস কে ডাকা ডাকি করলে সুচিত্রা দরজা না খুললে তার মা ও প্রতিবেশীরা মিলে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে দেখে সুচিত্রা ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে । এর পর তারা ফ্যানের
আর কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবোনা বলে চলে যান।এমন কি সাংবাদিকদের সব সময় এরিয়ে চলার চেস্টা করেন। এই ফাকে তাকে আত্মহত্যার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার স্ত্রী সুচিত্রার প্রচন্ড রাগ বদমেজাজি কথায় কথায় জেদাজিদি করে, তাহলে কি এটাই কারন আত্মহত্যা করার, নাকি অন্যকিছু, এই প্রশ্ন করতেই তিনি দ্বিতীয় তলার বেডরুম থেকে সোজা নিচে নেমে পরেন!? এই বিষয়ে ওয়াড কাউন্সিলার রতন তিনি বলেন আমাকে রাত্রি ১১টার সময় ফোন দিয়ে বলা হয় সঞ্চয় দাসের স্ত্রী গলায় ফাস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে, শুনে সাথে সাথে বোয়ালি থানায় ওসি কে ফোন দিয়ে ডাকেন।তার পর আমি গিয়ে দেখি লাশ বেডের উপর নামিয়ে রাখা আছে। হত্যা না আত্মহত্যা জানতে চায়লে, লাশ ময়না তদন্ত করলে জানা যাবে। এই দিকে সুচিত্রার লাশ মেডিকেলে মু'আয়না তদন্ত না করার জন্য তার পরিবার সহ সকলের দ্বিমত দেখা গেছে! অপরদিকে সঞ্চয় দাসের কথা মতে সুচিত্রা দাসের মা বাসন্তি সরকার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে সুচিত্রার ঝুলন্ত লাশটি নামানোর বিষয়টি জানেনা স্থানীরা । এমনকি তার অত্মহত্যার বিষয়টিও জানতোনা।স্থানীয়রা জানান, সঞ্চয় দাসের কাছথেকে নয় তারা বৃহস্পতিবার রাত্রী ১২টার সময় পুলিশের গাড়ি দেখে সঞ্চয় দাসের বাসায় এসে জানতে পারে রাত্রি ১০টার সময় সঞ্চয় দাসের স্ত্রী সুচিত্রা গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে সময় সুচিত্রার লাশটি ঘরের খাটের ওপরে ছিল ।তারা বলেন, আমাদের এলাকায় গত কয়েক বছর আগে এক গৃহবধূ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল । সে সময় দেখেছিলাম স্থানীয়রা ভীর করে ঝুলন্ত লাশ দেখলেও নামাননি কেউ । পুলিশে খবর দিয়ে পুলিশ আসার পরে লাশটি নামানো হয়েছিল । সুচিত্রার বিষয়ে দেখলাম ভিন্ন। পরিবারের লোকজন একেতো স্থানীয় কাউকে জানাননি তার পরে লাশটি নামিয়ে তারা দ্রুত হাসপাতালে নিতে পারতো সেটিও করেননি । এমনকি পুলিশেও খবর দিয়েছে লাশ নামানোর প্রায় দুই ঘন্টা পরে । এসব মিলিয়ে তারা ধারণা করছেন সুচিত্রা আত্মহত্যা করেনি তাকে হত্যা করা হতে পারে।এ বিষয়ে শিরইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান, পারিবারিক দন্ডের জেরে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন তিনি। সুরুতহাল রিপোর্টে শরিরে কোথাও আঘাতের দাগ পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।(ছবিতে সুচিত্রার মা বাসন্তী সরকার ও ভাবি (বৌদি)টুসি সরকার)।এখন দেখার বিষয় আসল ঘটনা?