বাকেরগঞ্জের নীল খোলা খাল ভরাট করে ইট ভাটা নির্মাণ
উত্তম কুমার, বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি:
বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের নীল খোলা খাল ভরাট করে ইট ভাটা নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগসূত্রে জানা যায়, মেসার্স এ.এস.টি ব্রিকস্ এর মালিক তুরান সজিব দীর্ঘ ৫০ বছরের নীল খোলা নামে খালের কিছু অংশ ভরটা করে পাশাপাশি দুইটি ব্রিকস্ ফিল্ড নির্মাণ করে। এলাকা সূত্রে জানা যায়, নীল খোলা খাল ও দীঘিটি ছিল একটি পুরানো ঐতিহ্য, কিন্তু বাস্তবতা সত্য হলেও চিত্রটি ছিল ভিন্ন। পরিবেশ অধিদপ্তর নামে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের ছত্র-ছায়ায় মেসার্স এ.এস.টি ব্রিকস্ লোকাল চুঙ্গা ও কাঠ ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবত ইট ভাটার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসের কালো ধোঁয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য ও সাধারণ মানুষের জীবন এখন মারাত্মক হুমকীর মূখে। এলাকার অধিকাংশ শিশু, বৃদ্ধ এবং বনিতারা বিভিন্ন ধরনের শ্বাসকষ্টসহ বুকে ব্যাথা অনুভব করছে। ডিসি রোডের ওপারে আঁধা মাইলের মধ্যে রাস্তার পার্শ্বে একই জাগায় ঘণ ঘণ ১০ থেকে ১২টি ব্রিকস্ এবং এর অল্প কিছুদুর গিয়ে পাশাপাশি আরও অনেকগুলো ব্রিকস্ নির্মাণ করে জ্বালানী কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। এত কম দূরত্বের মধ্যে ইট ভাটা করা যাবে কিনা তাও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্তাদের নিকট জানতে চায় সচেতন মহল? এ ব্যাপারে মেসার্স এ.এস.টি ব্রিকস্ এর মালিক পক্ষের নিকট জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন অনেক আগে একটি দীঘি ও নীল খোলা খাল নামে ছিল কিন্তু আমারা ভালভাবে বলতে পারবো না। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্তাদের দ্রুত পদক্ষেপ কামণা করছে এলাকার সচেতন সুশীল সমাজ।